রাত পোহালেই চুনারুঘাট পৌরসভার ভোট : আ.লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৬:৩০ অপরাহ্ণরাত পোহালেই চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে চুনারুঘাট পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
(১৪ ফেব্রুয়ারি) রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এর মাধ্যমে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন । পৌল এলাকার মোট ভোটার ১৪ হাজার ৪০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ১১১ জন এবং নারী ভোটার ৭ হাজার ৩৯১ জন। ৯টি ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রের ৪৬টি গোপন কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বিগত নির্বাচনের মতো এবারও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
চুনারুঘাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র নাজিম উদ্দিন শামছু (ধানের শীষ), আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম রুবেল (নৌকা) ও ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী আব্দুল বাছির (হাতপাখা)।
চুনারুঘাট পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিন প্রার্থীরই রয়েছে নিজস্ব ভোটব্যাংক। এছাড়া জনপ্রিয়তায়ও পিছিয়ে নেই কেউ। বড় রাজনৈতিক দল হওয়ায় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি প্রার্থীর অবস্থান অনেক দৃঢ়। চুনারুঘাটে বিপুল সংখ্যক চা শ্রমিক ভোটার হওয়ায় প্রতিটি নির্বাচনেই নৌকার বাক্সে একচেটিয়া ভোট পড়ে। তবে শুধু পৌরসভার হিসেবে ধরলে বিএনপির দাপটও রয়েছে বেশ।
চুনারুঘাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে উন্নয়নের অব্যাহত রাখতে ও বিএনপির অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে ও বিএনপির প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে মাঠে কাজ করছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
নির্বাচন প্রসঙ্গে- বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র নাজিম উদ্দিন শামছু বলেন- বিগত দিনে আমি চুনারুঘাট পৌরসভার জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম, এই এলাকায় আমি অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছি, আমার কাজের মূল্যায়ন স্বরূপ জনগণ পুনরায় আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে আমি আশাবাদী।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আমাদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উপর চাপ প্রয়োগ করছে। পুলিশ আমার প্রচার প্রচারণায় বাঁধা দিয়েছে, নেতাকর্মীদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আমি নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইফুল আলম রুবেল বলেন- বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবে বলে আমি আশাবাদী। তিনি বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগের প্রসঙ্গে বলেন- ‘আমাকে সমালোচিত করতেই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।
ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী আব্দুল বাছির বলেন- চুনারুঘাট পৌরসভাকে আধুনিক পৌরসভায় রূপান্তরিত করতে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে আমি আশাবাদী।
হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন- চুনারুঘাট পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে। ইতিমধ্যে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমাদের সব ধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, আশা করি সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। ‘বিএনপির প্রার্থীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে রির্টানিং অফিসার বলেন- ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা হয়েছে, এরপর আর কোনো সমস্যা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
চুনারুঘাট পৌরসভায় মেয়র পদে ৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চুনারুঘাট পৌর নির্বাচনে মাইক ছাড়া প্রচারণা করে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রার্থীরা।