আব্দুল মতিন খসরুর দাফন হবে কুমিল্লায়
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ এপ্রিল ২০২১, ৬:৫০ অপরাহ্ণআওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য,সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুকে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
তার ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মহিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় হাইকোর্টে তার প্রথম জানাজা হবে। তারপর তার লাশ কুমিল্লা নেওয়া হবে।
বুড়িচং উপজেলার হাইস্কুল মাঠে বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা এবং তার নিজ গ্রাম মিরপুরে বাদ আসর তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। আজ রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল- সিএমএইচের মরচুয়ারিতে তার মরদেহ রাখা হবে বলেও তিনি জানান। মতিন খসরুর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিন খসরু কুমিল্লা-৫ আসনের পাঁচবারের সংসদ সদস্য। ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগ সরকারে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। মতিন খসরুর জন্ম ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে। আওয়ামী লীগে যুক্ত মতিন খসরু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং কুমিল্লা জেলার অবিভক্ত বুড়িচং থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭৮ সালে কুমিল্লা জজ কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন মতিন খসরু। পরে ১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে নিয়মিত প্র্যাকটিস শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন অনেক দিন। মতিন খসরু আইনমন্ত্রী থাকাকালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ খোলা হয়।
গত ১০ ও ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। গত ১২ এপ্রিল অসুস্থ অবস্থায় সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নেন তিনি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মতিন খসরু গত ১৬ মার্চ থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। বুধবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।