হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে অপহরণ করে প্রেমিকাকে (১৫) জোড়পুর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মো: জসিম উদ্দিন (৩০) নামে এক দুবাই প্রবাসী যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৩ টায় জসিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত রাত শুক্রবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ নরপতি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। আটক জসিম উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ নরপতি কোনাপড়া এলাকার ছায়েদ উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে জসিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৮ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বের হয়ে আমুরোড গোছাপাড়া হাইস্কুলের সামন থেকে অপহরণ করে জোড়পুর্বক কিশোরীকে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন জসিম। এ ঘটনায় পরদিন রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় অপহরণের পর ধর্ষনের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আশরাফ জানান, অভিযুক্ত জসিমকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রবাসী জসিমের দাবী দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল । বিয়ের জন্য দুবাই থেকে তিনি গত বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেন। দেশে ফিরে গত ২৮ জানুয়ারি হবিগঞ্জ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ৩লক্ষ টাকা কাবিন উল্লেখ্য করে বিবাহ সম্পন্ন করেন। যাহার এফিডেভিট নং – ১৭১।
এফেডেভিটে উল্লেখ করা হয় পূর্ব পরিচয়ের মাধ্যমে একে অপরকে দীর্ঘদিনের চিনা-জানায় তাদের মধ্যে প্রেম ভালবাসা চলছিল । সে মতে তাদের ভালবাসা দিন-দিন গভীরতর হওয়ায় নিজেরা ২ জনেই স্ব-জ্ঞেনে তাদের পবিত্র ভালবাসাকে বাস্তব রূপদান করার জন্য একে অপরের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এদিকে, অভিযুক্ত প্রবাসী প্রে ছেলের অভিযোগ প্রথমে কিশোরীর পরিবার বিয়েতে রাজি হলেও কিশোরীর দুলা ভাই জসিমের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় মত পরিবর্তন করে পরিবার।
জসিমের পরিবার জানায়, তারা দুইজন একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করেছেস্ত। নানা নাটকীয়তার পর রাতে প্রবাসী প্রেমিক জসিমের বিরুদ্ধে অপহরণের ও ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের করান হয়ছে । কিশোরীর মা জানান, আমার মেয়েকে জোড় পুর্বক তুলে নিয়ে জিম্মি করে ভূয়া কাগজপত্র বানানো হয়েছে।