পাপুল ও হারুনের আসন কেন শূন্য ঘোষণা হবে না: হাইকোর্ট
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ আগস্ট ২০২০, ৬:২৯ অপরাহ্ণমানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে কারাবন্দি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল এবং বিএনপি নেতা হারুনুর রশীদের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত।
পাপুলকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে তার নির্বাচনী আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না এবং হারুনুর রশীদের সংসদ সদস্য পদে থাকা কেন অবৈধ ও তার নির্বাচনী আসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ কে কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
দুইজনের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার এ রুল জারি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
সংসদ সদস্য পাপুলের বিষয়ে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান। আর সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের বিষয়ে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী দেওয়ান এম এ ওবাঈদ হোসেন।
পাপুলের এমপি পদের ভবিষ্যৎ কী?
মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল (ফাইল ছবি)মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল (ফাইল ছবি)আইনজীবী আওসাফুর পরে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দাখিল করায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার হাই কোর্টে জনস্বার্থে রিটটি করেন আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া।
রিট আবেদনকারী গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে সেখানে জয়ী হয়ে আসেন আরেক স্বতন্ত্রী প্রার্থী কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল, যিনি মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাবন্দি আছেন।
আদালত ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জাতীয় সংসদে বিএনপি নেতা হারুনুর রশীদ (ফাইল ছবি)অপরদিকে আইনজীবী দেওয়ান ওবাঈদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্যের দুই বছর বা তার বেশি সাজা হলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের সাজা হয়েছে পাঁচ বছর।
দণ্ডিত এমপি হারুনের জামিন আপিলেও বহাল
“ফলে তিনি আর সংসদ সদস্য পদে থাকতে পারেন না। রিটে সে বিষয়টিই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। আদালত রিট আবেদনটি শুনে রুল জারি করেছেন।”
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক, সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও নির্বাচন কমিশনের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়ি বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির মামলায় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদকে গত বছর ২১ অক্টোবর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
রায়ে হারুনকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়।
রায়ের অনুলিপি সংসদ সচিবালয়ের সচিবের কাছেও পাঠানো হয়। এ সংসদ সদস্যের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিবাদীদের আইনি নোটিশ পাঠান রিট আবেদনকারী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওয়াদুদ।
কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে গত ১৩ আগস্ট হাই কোর্টে জনস্বার্থে তিনি রিট আবেদন করেন