নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচন : কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি !

চলছে লবিং-তদবির

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নতুন বছর ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি। ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে তফসিল। প্রার্থীদের শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। এরইমাঝে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্র্থীদের তালিকা চুড়ান্ত করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ । এবার দেখার পালা কে হচ্ছেন আসন্ন নবীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে নৌকার কান্ডারী ?

নবীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক আওয়ামী লীগের ৭ জন প্রার্থী। মনোনয়ন প্রত্যাশী ৭ জন থাকলেও যোগ্যতা সম্পন্ন ত্যাগী ও জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করার মনোভাব রয়েছে এমন ব্যক্তিকেই দলীয় মনোনয়ন দেবেন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এমনটাই ধারণা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে প্রার্থীদের আমলনামার খোঁজ খবর রাখছে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড। ইতিমধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে মাঠ পর্যায়ের জরিপ। অন্যদিকে মনোনয়ন পেতে ঢাকায় অবস্থান করছেন প্রায় সকল প্রার্থী। পুরোধমে চলছে লবিং। ঢাকায় তদবিরে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৭ জনের মধ্যে রয়েছে- নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ৩ বারের মেয়র ও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী,নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ মিলু,নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজাহিদ আহমেদ, নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল, হবিগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ আব্দুল মালিক ও লন্ডন প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ তাজুল ইসলাম।

প্রার্থী ৭ জন থাকলে একাধিক সূত্র বলছে- আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন- নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ৩ বারের মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী,নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ মিলু ও নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল। আলোচনায় রয়েছেন নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজাহিদ আহমেদ, হবিগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ আব্দুল মালিক ও লন্ডন প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ তাজুল ইসলাম

তবে দলীয় সভাপতির সিদ্ধান্তের পূর্বে মুখ খুলতে নারাজ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ।

তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী- তিনি নবীগঞ্জ পৌরসভার টানা ৩ বারের নির্বাচিত সাবেক মেয়র। তিনি নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন, বর্তমানে তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য।

সাইফুল জাহান চৌধুরী- তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের দুইবারের সদস্য ও পরবর্তীতে সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক,নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,পরবর্তীতে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, পরে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

মোস্তাক আহমেদ মিলু- তিনি যথাক্রমে নবীগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগে সাধারণ সম্পাদক, নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, নবীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ২ বারের মতো নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল -তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী ‘জাগো-নিউজ’কে জানান- আমি মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী,দলের র্দুদিনে আমি সবসময় পাশে ছিলাম এবং একটানা ৩ বারের নির্বাচিত মেয়র হিসেবে পৌরবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম এবং আছি, আমার ছোট ভাই তমিমুল ইসলাম চৌধুরী নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে যুক্তরাজ্য লাকবরা আওয়ামীলীগের সভাপতি, মামা আব্দুল মতিন চৌধুরী নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, আমার মেয়ে ফারজানা ইসলাম নুপুর নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়কে দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়াও আমার আত্মীয় স্বজন আওয়ামীলীগ যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের মূল দায়িত্বে থাকায় আমি কখনো দলীয় পদ-পদবী চাইনি। আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে ইনশাআল্লাহ দল আমাকেই মূল্যায়ন করবে।

সাইফুল জাহান চৌধুরী ‘জাগো-নিউজ’কে বলেন- বঙ্গবন্ধুর আর্দশে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু, বর্তমানে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। দলের র্দুদিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে পাশে ছিলাম আছি আগামীতেও থাকবো। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, ইনশাআল্লাহ দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেবেন বলে আমি শতভাগ আশাবাদী।

মোস্তাক আহমেদ মিলু ‘জাগো-নিউজ’কে বলেন- তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সক্রিয় নেতা। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে এখন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন। এই হিসেবে দল তাকেই মনোনয়ন দেবে।

গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল ‘জাগো-নিউজ’কে বলেন- তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক হিসেবে এবার দলীয় মনোনয়নে তিনি পাবেন বলে আশাবাদী।

আওয়ামীলীগের দলীয় সূত্র বলছে- আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পর নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষনা করবে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ।