ধর্ষকদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে উত্তাল সিলেট
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৪:৪১ অপরাহ্ণহঠাৎ করেই উত্তাল হয়ে পড়েছে পূর্ন ভূমি সিলেট।
বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তের জনসাধারণের নজর রাখে এখন সিলেটে।
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রবাসে স্বামীকে বেধে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মীর গণধর্ষণ করে এক তরুনীকে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবীতে সকাল থেকে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এমসি ও সরকারি কলেজের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টিলাগড় এলাকায় বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীর অভিযোগ করেন, করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ বন্ধ থাকার পরেও ছাত্রাবাস কিভাকে খোলা রাখেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এসব অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের অবগত থাকার পরেও কেন ছাত্রাবাস বন্ধ করে দেয়া হল না। আজ আমাদের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠে কলংকের দাগ লেগেছে। এসময় শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। অনথ্যায় তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান।
অন্যদিকে রাতভর অভিযান চালিয়েও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার বিকেল ৫টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত গ্রেফতারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ধর্ষণের ঘটনায় মামলা:-
সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার সকালে ৯ জনকে আসামী করে শাহপরাণ থানায় ধর্ষিতার স্বামী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এজহারনামীয় আসামীরা হলেন, এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আসামীদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।
অপরদিকে শুক্রবার রাতভর অভিযানে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালিয়ে সাইফুরের রুম থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রচুর পরিমাণে দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার সকালে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজে গিয়েছিলেন ধর্ষণের শিকার হওয়া ঐ তরুণী। এসময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী তাদেরকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করে তারা। পরে খবর পেয়ে শাহপরাণ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
বর্তমানে ঐ তরুণী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে এমসি কলেজের মতো প্রতিষ্ঠিত কলেজে এমন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
এমন ঘটনায় দলীয় মদদে ও কলেজ প্রশাসনের খামখেয়ালিপনাকে দায়ী করছেন অনেকেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে এমন নেক্কার যখন ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবী সকলের।