আগামী ২৮ নভেম্বর হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা পুরোধমে লবিং তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। দেবপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের লড়াইয়ে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পুরোধমে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে আসতে পারে নতুন চমক। আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের লড়াইয়ে আছেন ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ও ২০১৯ সালের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল মোহিত চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা সমাজসেবক নুরুল শরীফ হূদা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করীম, ২০১৬ সালের নির্বাচন ও ২০১৯ সালের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আ.খ.ম ফখরুল ইসলাম কালাম। মনোনয়ন পেতে নানাভাবে লবিং তদবিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। অবস্থান করছেন ঢাকায়। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন সাবেক চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ জাবেদের ছেলে শাহ রিয়াজ নাদির সুমন প্রচার-প্রচারণা ও মিটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ।
এ প্রসঙ্গে দেবপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মোহিত চৌধুরী বলেন, আমি বর্তমান চেয়ারম্যান, দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আশা করি দল আমাকেই মূল্যায়ন করবে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নুরুল শরীফ (হুদা) বলেন, দিনারপুর মাদ্রাসায় জায়গা দান, শরীফ ঈদগাহ, শরীফ নগর ফুটবল মাঠে জায়গা দান, শরীফ নগর মসজিদে জায়গা দান, উত্তর দেবপাড়ায় ঈদগাহর জন্য জায়গা দান, শতক মসজিদে জায়গা দানসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে আমি সম্পৃক্ত, পারিবারিক ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে আমি সম্পৃক্ত থাকায় আমি আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী আমাকে মূল্যায়ন করবেন ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ রিয়াজ নাদির সুমন বলেন, বিগত নির্বাচনে আমি জনগণের ভোটে বিজয়ী ছিলাম, ষড়যন্ত্র করে আমাকে পরাজিত করা হয়েছে, আমি জনতার চেয়ারম্যান হিসেবে মাঠে কাজ করছি, আশা করছি এবারের নির্বাচনে স্বচ্ছ ভোটের মাধ্যমে জনগণ আমাকে বিজয়ী করবে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করীম ও আ খ ম ফখরুল ইসলাম কালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য- গত উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মোহিত চৌধুরী পেয়েছেন ৪ হাজার ১৩২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাসুম আহমেদ জাবেদের ছেলে শাহ রিয়াজ নাদির সুমন চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮২ ভোট। তৃতীয় হয়েছেন (স্বতন্ত্র) ও আওয়ামী লীগের (বিদ্রোহী প্রার্থী) সাবেক চেয়ারম্যান আ ক ম ফখরুল ইসলাম কালাম। আনারস প্রতীক নিয়ে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ৮০১। বিএনপির অ্যাডভোকেট জালাল আহমদ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৮১ ভোট ও মাওলানা ফখরুল ইসলাম চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪২১ ভোট। এদিকে নির্বাচনী ফলাফলকে ব্যালট পেপার ছিনতাই, টেবিল কাস্ট ও বিভিন্ন কারচুপি ও এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিলেন প্রার্থী শাহ রিয়াজ নাদির সুমন, আ ক ম ফখরুল ইসলাম কালাম ও অ্যাডভোকেট জালাল আহমদ।