দামি উপহার পাঠানোর লোভ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি সংঘবদ্ধ চক্রের চার নাইজেরিয়ান নাগরিক ও বাংলাদেশের এক নারীকে আটক করেছে র‍্যাব-৪।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে দামি উপহার পাঠানোর লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করত চক্রটি। এ অভিনব পদ্ধতিতে অনেক লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল তারা। এরকম খবর পেয়ে অনুসন্ধান করতে থাকি আমরা।

আটক পাঁচ জনের মধ্যে চার জন নাইজেরিয়ার নাগরিক। তারা হলেন— অনুরাহ নামদি ফ্রাংক (৩২), উদেজে ওবিনা রুবেন (৪১), মাচদুহু কেলভিন (৪২) ও ফ্র্যাংক জ্যাকব (৩৫)। চক্রের আরেকজন বাংলাদেশি, তার নাম টুম্পা আক্তার (২৩)।

এএসপি সাজেদুল ইসলাম জানান, পাঁচ জনের মধ্যে টুম্পা আক্তার নিজেকে বাংলাদেশের একজন কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। আটক পাঁচ জনের কাছে দুইটি মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট, ব্যাংকে অর্থ জমাকৃত বই, চেকবই, ১২টি মোবাইল ফোন, একটি প্রাইভেট জিপ গাড়ি, নগদ তিন লাখ টাকাসহ হোয়াটসঅ্যাপ-ইমো-ফেসবুকে কথোপকথনের স্ক্রিনশটের কপি জব্দ করা হয়।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় থাকা নাইজেরিয়ান নাগরিকদের একটি চক্র অভিনব কায়দায় বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারা নিজেদের যুক্তারষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার একপর্যায়ে তারা বাংলাদেশে দামি উপহার পাঠানোর প্রলোভন দেখায়। এরপর কিছুদিন পর বাংলাদেশের কাস্টম অফিসার পরিচয়ে এক নারী উপহার আসার কথা বললে সে প্রলোভন বিশ্বাসযোগ্যতা পায়। এসময় তাদের জানানো হয়, উপহারের পার্সেলটি ছাড়াতে কাস্টমস ভ্যাট/শুল্ক বাবদ টাকা জমা দিতে হবে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী এ কথা সেই বিদেশি প্রতারক বন্ধুকে জানালে সে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা পাঠানোর কথা বলে। টাকা পাঠানো হলে স্বাভাবিকভাবেই তা আত্মসাৎ করে চক্রটি। এভাবে দিনের পর দিন অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।

গ্রেফতার প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান এএসপি।

এদিকে সম্প্রতি নবীগঞ্জের এক তরুণী এমন প্রতারণার শিকার হয়েছে। এনিয়ে জাগো.নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদন

বিদেশী বন্ধুর উপহারের ফাঁদে নবীগঞ্জের সামিহা!