গাজীপুরে টিকটকে কাজ করা কথা ফেলে সপ্তম শ্রেণির (১৩) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার ঢাকা থেকে শিশির (১৯) ও জুনায়েদ (১৯) নামে দুই তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা কিশোরী টঙ্গীর রিপাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। সে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো। দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকটক তৈরি করে এমন কিছু বন্ধুদের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় নির্যাতিতা ঐ কিশোরীর। পরে নিজেদের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খুলে বিভিন্ন স্থানে থাকা বন্ধুদের এক সঙ্গে টিকটক তৈরির প্রস্তাব দিলে কিশোরী তার পরিবারকে নানার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে গত বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে দত্তপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আটককৃতরা নির্যাতিতা কিশোরীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) নির্যাতিতা কিশোরীর মা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশ রাজধানীর হাতিরঝিলের মধুবাগ এলাকার একটি দোকানের সামনে থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নির্যাতিতার মা জানায়, সে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো। ঘটনার দিন বিকেলে নানার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে থানায় ডায়েরি করলে শুক্রবার রাতে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
স্বজনদের বরাত দিয়ে টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, থানায় জিডি হওয়ার পর তিন দিনের মধ্যে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানার পুলিশ। মেয়েটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বরাত দিয়ে এসআই জিয়াউর রহমান বলেন, তাকে টিকটক স্টার বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে একটি কক্ষে আটকে রেখে শিশির, শাওন ও জুনায়েদসহ অজ্ঞাত আরও একজন তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী শিশির ও জুনায়েদকে ঢাকার ওয়ারী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।