জগন্নাথপুরে শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা : চাচির দায় স্বীকার
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ আগস্ট ২০২০, ১২:২২ পূর্বাহ্ণসুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের তেলিকোনা গ্রামে জায়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে দেড় বছরের শিশুকন্যাকে পানিতে ফেলে হত্যা করেন চাচি।
শনিবার ( ২২ আগষ্ট) বিকেলে সুনামগঞ্জের ১ম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে ঘটনায় অভিযুক্ত চাচি সুবিনা আক্তার। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ‘জাগো নিউজ’কে জানান, বড় জায়ের সাথে বিরোধের জের ধরে প্রতিশোধ নিতে তার ১৮ মাসের শিশু কন্যাকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যার কথা শনিবার বিকেলে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে স্বীকার করেছে অভিযুক্ত সুবিনা আক্তার । আমরা শিশুর বাবা রুমেন মিয়ার দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানোর পাশাপাশি ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তমুলক জবানবন্দি গ্রহণ করতে আদালতে পাঠালে সে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত দুই/তিন দিন পূর্বে উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের তেলিকোনা (নতুনপাড়া) গ্রামের রুমেন মিয়ার স্ত্রী সাজেদা বেগমের সঙ্গে তার দেবর পাবেল মিয়ার স্ত্রী সুবিনা আক্তারের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে বিষয়টি নিষ্পত্তি হলেও বড় জায়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে ছোট জা সুবিনা আক্তার বড় জায়ের ১৮ মাসের শিশু কন্যা সাদিয়া বেগমকে গতকাল শুক্রবার (২১ আগস্ট) ভোরে বাড়ির নিকটবর্তী একটি ডোবার পানিতে ফেলে দেন।
এ সময় প্রতিবেশী এক নারী বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের জানান। পরে ডোবা থেকে শিশুর মরদেহ থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে পুলিশ শিশুর পিতার লিখিত অভিযোগ পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্ত চাচি সুবিনা আক্তারকে (২৫) আটক করে জেলহাজতে পাঠায়।
নিহত শিশুর বাবা রুমেন মিয়া বলেন, দুই/তিন দিন পূর্বে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমার ছোট ভাইয়ের বৌয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এই সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে আমার স্ত্রীর ওপর প্রতিশোধ নিতে আমাদের শিশুকন্যাকে পানিতে ফেলে হত্যা করা করেছে। এ ঘটনায় আমি লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।