হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নে প্রেমের ডাকে সাড়া না দেয়ায় এক স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্তের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের পর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নিজাম নামে এক বখাটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের কেয়ামত আলীর কিশোরী মেয়ে ও হলদারপুর জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছে পাশ্ববর্তী রামপুর গ্রামের আনছার উদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন। তার এহেন আচরণের কারণে ওই ছাত্রীকে তার অভিভাবকরা স্কুলে যাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেন। এতে ওই বখাটে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
বিষয়টি বখাটে নিজামের স্বজন-মুরুব্বিয়ানদের অবহিত করলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। চলতি বছরের (১৩ জুন) বিকেল ৫টায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে গোপনে মোবাইল দিয়ে ছবি তোলে বখাটে নিজাম। ছবি তোলার বিষয়টি টের পেয়ে ওই স্কুল ছাত্রী তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করলে বখাটে নিজাম ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ‘‘যেই হুমকি সেই কাজ’’ হুমকির পর ‘ভালবাসি তোমাকে’ নামক ফেসবুক একাউন্ট থেকে স্কুল ছাত্রীর ছবি দিয়ে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে একাধিক পোস্ট করা হয়।
এ ঘটনার পর গত (১৪ জুন) ওই স্কুল ছাত্রীর মা হাজেরা বেগম বিস্তারিত উল্লেখ করে বখাটে নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নবীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
হাজেরা বেগম জানান, আমার মেয়েকে উত্যক্ত এবং ফেসবুকে আমার মেয়ের ছবি পোস্ট করার ঘটনা অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি ।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশের পর হাজেরা বেগমের অভিযোগ পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বিষয়টি সামাজিক সালিশ বিচারের মাধ্যমে মিমাংসা করে দেবেন বলে আশ্বস্থ করেন।
এ প্রসঙ্গে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যে ছেলের বাবা ও তার আত্মীয় স্বজনকে এসব ঘটনা থেকে বিরত থাকতে বলেন বলে তিনি জানান। তবে ফেসবুকের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নবীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।