নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনার প্রতিকার চেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের ফটিক মিয়ার স্ত্রী প্রতিবন্ধী দোলনা বেগম। যদিও বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে গত এক বছর ধরে ভাতার কার্ড নিজের কাছে রেখে গোপনে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছেন।
প্রতিবন্ধী দোলনা বেগম ভাতার কার্ড চাইলে চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন ওই কার্ড খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান।
কিছুদিন পূর্বে নানা চাপের মুখে চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন ভাতার কার্ড সুবিধাভোগী দোলনা বেগমের কাছে বুঝিয়ে দেন। এরপর ভাতার কার্ড নিয়ে দোলনা বেগম ২ হাজার ২ শত ৫০ টাকা উত্তোলন করেন। এক পর্যায়ে আশেপাশের মানুষকে ভাতা কার্ড দেখালে দোলনা বেগম জানতে পারেন ইতোপূর্বে দোলনার ভাতার কার্ড দিয়ে ১৭ হাজার ৪শত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নস্থানে ভাইরাল হওয়ার পর চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিনের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে। বিষয়টি গোপনে শেষ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুয়েব চৌধুরী বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা আমার পূর্বের অফিসার বারিন্দ চন্দ্র রায় এ বিষয়ে অবগত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের জন্য সমাজসেবা অফিসকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে করগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত।