বানিয়াচংয়ে মাদকসেবীর মারপিটে পুলিশ সদস্য নিহত
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ৩:১৬ অপরাহ্ণহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নামে এক নৌ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পুলক দাশকে (২৮) আটক করেছে। নিহত জাহাঙ্গীর আলম বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলি নৌ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। আটক পুলক দাশ নবীগঞ্জ উপজেলার কাদিরগঞ্জ গ্রামের ক্ষীর মোহন দাশের ছেলে।
বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় মার্কুলী বাজারে নিহত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীরের সাথে ঘাতক পুলকের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পুলক উক্তেজিত হয়ে মাথায় আঘাত করলে পুলিশ সদস্য মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রাতেই পুলককে আটক করেছে পুলিশ।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে এবং ওসি অজয় কুমার দেবসহ পুলিশের কর্মকর্তারা। সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই হত্যাকারী পুলক দাশকে আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। সেখানে স্পষ্ট দেখা যায় পুলক দাশ ক্ষিপ্ত হয়ে কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমকে এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করছে।
পুলিশ জানিয়েছে ঘাতক পুলক একজন মাদকাসক্ত। তাদের ধারনা মাদক সেবনে নিষেধ করার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, নৌ পুলিশে চাকরী করার সুবাধে স্থানীয় লোকজনের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমের। ঘটনার আগের দিন ওই এলাকায় পুলক দাশকে গাঁজাসেবন করতে দেখলে তিনি তাকে গাঁজা সেবন না করার উপদেশ দিয়ে শাসন করেন। এ শাসনের কারনে ক্ষোভ থেকেই পুলক দাশ কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা করা হচ্ছে।