বানিয়াচংয়ে জলাশয়ে বাঁধ বিরোধ : দু’গ্রামের সংঘর্ষ : আহত শতাধিক
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ডিসেম্বর ২০২০, ২:১১ অপরাহ্ণহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে হাওরের পুরাখালের বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য দাঙ্গায় দু‘গ্রামের শতাধিক লোক আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষ্যর্শী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের কামালখানী ও মজলিশপুর গ্রামের সীমান্ত হাওরে বাধ দেওয়ার বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে বেলা ১ টার পর্যন্ত ।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা, ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার সর্দারগণ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের গুরুতর আহতরা হলেন আবিদুর(৩০), লালমিয়া(৩৫), মনছুর(৪০), অলিহোসেন(৩৭) জমির(৩৬) অপুসরকার(৩০), নিপু(৩০), সাজিদ(২৩) নূরুলআমীন(৪০), সাজলু(৩১), ফজলু(৪২), জিলু(২৮), নাজমুল(২৮), হারুন(৩৮) জসিম(৪০), আনসারমিয়া(৩৭), মজলিশপুর গ্রামের নজির মিয়া(২৫) । আহতদের বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় অনেক নেতৃবৃন্দও আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কানিভাঙ্গা নামকস্থানে পুরাখালে কামালখানী গ্রামের লোকজন বাধ দেওয়ায় মজলিশপুর গ্রামের লোকজন গত বৃহস্পতিার বাধটি ভেঙ্গে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে কামালখানী গ্রামের লোকজন মজলিশপুর গ্রামের লোকজনের নিকট এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে সঠিক জবাব না পেয়ে তাদেরকে বাধের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এতে মজলিশপুর গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে যাওয়ার জন্য আহবান জানায়। এ দিকে কামালখানী গ্রামের লোকজনও তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য আহবান জানায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষটি থামাতে থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্র ভঙ্গ করে দেওয়ার পরও দফায় দফায় সংঘর্ষটি চলতে থাকে।
বানিয়াচং থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন ‘জাগো-নিউজ’কে জানান, দুর্ঘম হাওরের মাঝে দু‘দল গ্রামবাসী বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বর্তমানে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি থানা পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা ‘জাগো-নিউজ’কে বলেন থানা পুলিশ,জনপ্রতিনিধি সহ উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌছে উভয় পক্ষকে শান্ত করেছে। সব কিছু এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।