আজমিরীগঞ্জে ৩৯টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই, ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি!
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:২২ পূর্বাহ্ণআজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর বাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে ৩৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমানে এতে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকাল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত অগ্নিকান্ড স্থায়ী ছিল। তিন ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণ হলেও বাজার এখন রীতিমতো ধ্বংস স্তুপ। দমকল বাহিনী আসতে এক ঘন্টা সময় লেগেছে। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা এতটাই ছিল; এই এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া স্থানীয়দের পক্ষে কিছু করা সম্ভব হচ্ছিল না।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, পাহাড়পুর বাজারে ইতি স্টোর নামক সুতার দোকানের মালিক শুক্রবার দুপুরে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে গিয়েছিলেন। বিকেল চারটায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে তার দোকানে আগুন লেগে যায়। এরপর অগ্নিকান্ডে ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাজারে। একঘন্টা ধরে জ্বলতে থাকার পর নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। তারা আসার পর দুই ঘন্টায় নিয়ন্ত্রণ হলেও ততক্ষণে আগুনে পুড়ে যায় ৩৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশ জানিয়েছেন, ইতি স্টোরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে ৩৯টি দোকান পুড়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে ছিল কাপড়, মুদিমাল, জাল-সুতা, রেস্টুরেন্টসহ নানা রকম পন্য।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস আসতে এক ঘন্টা সময় লেগেছে। যে কারণে আগুন পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়েছিল। অগ্নিকান্ড মারাত্মক ভয়াবহ হওয়ায় আমরা এগিয়ে গিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করার সাহস পাইনি।
তারা আরো জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুরো বাজার রীতিমতো ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ীকে এখন পথে বসতে হবে। এ ব্যাপারে তারা সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নবীগঞ্জ দমকল বাহিনীর ফায়ারম্যান বাদল মিয়া জানান, এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যেতে এক ঘন্টা সময় লেগেছে। তবে প্রথমে একটি ইউনিট এবং পরে আরো দু’টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে বলেও জানান তিনি।
পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে, কুবিন্দ্র দাসের কাপড়ের দোকান, গোপাল দাসের জালের দোকান, শিবু দাসের টিনের দোকান, সচিন্দ্র চক্রবর্ত্তীর মুদি দোকান, জগদিশ বৈষ্ণবের দিঘি ফ্যাশন, মনু দাস চালের দোকান, সুবল দাসের নিলয় বস্ত্রালয়, সুকুমার দাসের মিম ফ্যাশন, বিধান দাসের কাপড়ের দোকান, বিন্ধু চন্দ্র দাসের কাপড়ের দোকান, সতেন্দ্র দাসের মুদিমালের দোকান, বজেন্দ্র দাসের এলোমোনিয়ামের দোকান, হরী দাসের ৫টি দোকান, বীরেন্দ্র দাসের জালের দোকান, বিশ্ব দাসের মুদিমালের দোকান, রাতুল তালুকদারের দোকান, প্রিতিষ বৈষ্ণবের মুদিমালের দোকান, রন বৈষ্ণবের কাপড়ের দোকান, জয় হরি বৈষ্ণবের কাপড়ের দোকান, জয় হরি বৈষ্ণব কাপড়ের দোকান।