সিলেট নগরীতে থামছেনা ট্রাক চাপায় মৃত্যুর মিছিল !
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জানুয়ারি ২০২১, ২:০২ পূর্বাহ্ণসিলেটে ব্যস্ততম এলাকা গুলোতে বেপরোয়া ট্রাক দু’দিনের ব্যবধানে কেড়ে নিল ৩ জনের প্রাণ।
সড়কে ঝরছে তাজা প্রাণ। কোন কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা বেপরোয়া ট্রাক। বেপরোয়া ট্রাক নিয়ে অনেক সময় অনেক আন্দোলন হলেও কোনো কিছুই সমাধান হচ্ছে না।
প্রতিনিয়তই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন তাজা প্রাণ। এর শেষ কোথায়?
সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট , আখালিয়া’ সুবিদবাজার , জালালাবাদ , আম্বরখানা, খাস্তবির , এয়ারপোর্ট রোড
এ সকল এলাকায় রাত আটটার পরে যেন ট্রাকের রাজত্ব। সে সময় ট্রাকের গতি দেখলে মনে হয় এখন গায়ের উপরে উঠে যাবে। রাস্তার অন্য গাড়িকে গুলো তারা পরোয়াই করে না। তাছাড়া বেপরোয়া গতিগতি তো রয়েছেই। প্রতিনিয়ত কোন না কোন দুর্ঘটনার কথা শুনা যায় ৷আর মৃত্যুর মিছিল তো রয়েছে।
আম্বরখানার মত এত ব্যস্ততম সড়কের রাত আটটার সময় হেভি লোডেড ট্রাকের যাতায়াত৷
যেখানে রাত দশটা / এগারোটা/ বারোটা পর্যন্ত মানুষের আনাগোনা / কর্মব্যস্ততা থাকে ৷
এই রকম ব্যস্ততম সড়কের রাত আটটার সময় এভাবে ট্রাক। কেন?
নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলে বলতে হয় ,
আতংকের মধ্যে দিয়ে এ সকল রাস্তায় চলাচল করতে হয় ৷ কিছুদিন আগেও আমার দাড়িয়ে থাকা রিকশাকে ট্রাক ধাক্কা দেয় ৷ সৌভাগ্যক্রমে সেদিন বেঁচে যাই।
পথচারীর রাস্তা পারাপার , মোটরসাইকেল আরোহী কোনো কিছুই যেন রাস্তাগুলোতে ট্রাকের জন্য শান্তির মতো চলাফেরা করতে পারে না সন্ধ্যার পর থেকে। প্রতিটা মুহূর্তে আতঙ্ক নিয়ে চলতে হয়।
তাছাড়াও অপরাধ করেও ট্রাক ড্রাইভাররা প্রায়ই ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন। ঠিকমতো তাদের সাজা হচ্ছে না।
অনেক সময় দেখা যায় হেল্পার ট্রাক চালাচ্ছেন। অনেকেই আবার থাকেন নেশাগ্রস্ত। এক্সিডেন্ট করার পরেও তারা তাদের দোষ স্বীকার করতে চান না।
ব্যস্ততম এই সড়কগুলোতে রাত আটটার দিকে ট্রাক চালানো কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
বারবার করে আন্দোলন করার পরও কোনো লাভ হয়নি ৷ প্রত্যেকের দাবি ছিল রাতে বারোটার পর ট্রাক ছাড়ার জন্য কিন্তু কেউই কথা রাখেন না যার ফলশ্রুতিতে সড়কে বারবার ঝরছে তাজা প্রাণ।
আর কত প্রাণ ঝরলে বা কত মায়ের বুক খালি হলে ব্যস্ততম সড়ক গুলোতে বেপরোয়া ট্রাক বন্ধ হবে।
পুরো সিলেটবাসী এর প্রতিকার চান।
প্রশাসনের কাছে আকুল নিবেদন , রাত বারোটার পর ট্রাক চলাচল এবং নিরাপদ সড়ক ৷