শ্রমিকদের টাকা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে : কাজে ফিরে যাওয়ার আহবান মালিকপক্ষের
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জুলাই ২০২৩, ৩:৪৬ পূর্বাহ্ণএরিয়া অর্থ-বোনাস, উৎসব ভাতা, পিএফের বকেয়া টাকা, চিকিৎসা, স্থায়ী বাসস্থান নিশ্চিত করণসহ ৭ দফা দাবীতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কর্মবিরতি পালন করে মানববন্ধন করছে চা শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই ) দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পানিউমদা ইউনিয়নের রোকনপুর বাজারে ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন করে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের ৩৬০ জন শ্রমিকের চা-বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা-সংসদ ও বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে সম্পাদিত বিগত শ্রমচুক্তি মোতাবেক শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি/এরিয়ার অর্থ বাবদ ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরের টাকা ও এরিয়া বোনাসের টাকা বকেয়া রয়েছে। তাছাড়া চা বাগান শ্রমিক ভবিষ্যত তহবিলের (পিএফ) ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা মালিক পক্ষ পিফ কার্যালয়ে জমা প্রদান না করার ফলে অবসর প্রাপ্ত শ্রমিকগণ পিএফ অর্থ পাচ্ছেন না। এছাড়া চা শ্রমিকদের রোদ-বৃষ্টিতে বাসস্থানে অবস্থান করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত তারা। গত ২৫ জুন চা শ্রমিকদের ৭ দফা দাবী বাস্তবায়ন করার জন্য ইমাম টি এস্ট্রেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবর লিখিত ভাবে জানায় চা শ্রমিকরা। মালিকপক্ষ সারা না দেয়ায় ৩ জুলাই থেকে কর্মবিরতী পালন করছেন তারা।
এদিকে বাগান কর্তৃপক্ষের দাবী- নিয়মিত শ্রমিকদের বেতনসহ যাবতীয় সুযোগ,সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। দুর্গা পূজায়ও তাদেরকে টাকা প্রদান করা হবে। এছাড়া চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল রয়েছে ডাক্তার রয়েছে নিয়মিত ঔষধও দেয়া হচ্ছে। এরিয়া অর্থ, বোনাস ও পিএফের টাকাও পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ইমাম টি এস্ট্রেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চা শ্রমিকদের বেতনসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এরিয়া অর্থ, বোনাস ও পিএফের টাকা দেয়ার জন্য তারা একটি চিঠি লিখেছি আমি বলেছি ১৫ জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে টাকাগুলো পরিশোধ করা হবে। আশা করছি তারা কাজে ফিরে যাবে।