প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৬:৫৩ অপরাহ্ণখবর বাংলাদেশ নামক একটি অনলাইনে ‘‘সিলেটের রাসেল এর লাশ আট মাস ধরে পড়ে আছে দুবাই হাসপাতালে” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদের মধ্যে যে সব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। উক্ত সংবাদের মিথ্যা তথ্যের উপর করা হয়েছে তাই আমি মিথ্যা সংবাদগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আমার ভাই ইসমাইল আহমেদ ও জাকারিয়া আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে দুবাই বসবাস করছেন। কয়েক বছর পূর্বে আমার চাচাত্তো ভাই রাসেল আহমেদও দুবাই যায়। তারা সবাই সেখানে মিলে মিসে সুন্দর ভাবেই বসবাস করছিলেন। চলতি বছরের মার্চ মাসের ১ তারিখ হঠাৎ দেশে থাকা রাসেলের ছোট ভাই মোজাম্মিল দেশ থেকে আমার ভাই ইসমাইল আহমেদ ও জাকারিয়া আহমেদকে কল দিয়ে জানায়- ‘তার ভাই রাসেল সেখানে আত্মহত্যা করবে, রাসেল তার ভাই ও মাকে কল দিয়ে এ কথা বলেছে।
রাসেলকে বাচাঁতে আমার ভাই ইসমাইল আহমেদ ও জাকারিয়া আহমেদকে কল দিয়ে আকুতি জানায় মোজাম্মিল” এরপর আমার ভাই তারা সেখানে কাজে ছিলেন অনেক দূরে, তারা তাকে বারবার কল দেয়ার পর কল রিসিভ করে সে কান্নাজরিত কন্ঠে জানায় আমি কোন ভূলত্রুটি করলে মাফ করে দিবেন, আমি আমার পরিবারের কারণে দুনিয়া ছেড়ে চলে যাচ্ছি। এ কথা বলে কল রেখে দেয়। পরে তারা গিয়ে দেখতে পান সে আত্মহত্যা করেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ তার মোবাইল ফোনে অনেক রেকর্ড পেয়েছে সে কেন আত্মহত্যা করেছিল। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত করেও রাসেল আত্মহত্যা করেছে মর্মে হাই কমিশনে রিপোর্ট দিয়েছে। সে তাদের পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করেছে এবং অনেক তথ্য তার মোবাইল ও বিভিন্ন মানুষের মোবাইলে ভয়েস রেকর্ড দিয়ে গেছে। যা সেখানের পুলিশ ও অনেকের মোবাইলে সংরক্ষণে রয়েছে। তার আত্মহত্যার পিছনে কারা দায়ী সেসব রেকর্ড শুনলেই বুঝা যাবে। যা দুবাই পুলিশের কাছেও রয়েছে।
মূল কথা হচ্ছে রাসেলের ভাই ও মা তারা সত্য ঘটনাকে গোপন রেখে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমন ভূয়া সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। সঙ্গত কারণে আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদ এবং অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উক্ত মিথ্যা অপপ্রচারের প্রশাসনসহ জন সাধারণ কে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এবং আমরা মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
কামরান আহমেদ
গ্রাম: ফাদুল্লা, নবীগঞ্জ।