নবীগঞ্জে লন্ডন প্রবাসীর রাস্তা বন্ধ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০২২, ১:২৪ পূর্বাহ্ণগত ২৪ জুলাই নবীগঞ্জে লন্ডন প্রবাসীর রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা শীর্ষক শিরোনামে বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূন্নরূপে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রনোদিত। আমার মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল।
প্রকৃত পক্ষে ঘটনা হলো- আমি জমসেদ মিয়া, দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছি, নবীগঞ্জের সদরঘাট মৌজার জে.এল নং- ১৩৫ এর জায়গা কাগজপত্রে আমাদের নিজস্ব জায়গা যা দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ করে আব্দুল বারীর ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছানু মিয়া জায়গাটি নিজের বলে দাবী করেন। এবং আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় দায়েরের পর শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট না হওয়ার জন্য আদালত ১৪৪ ধারা জারী করেন।
কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে ছানু মিয়া আমার জায়গায় জোরপূর্বক গেইট ও নাম ফলক স্থাপন করেন। চলতি বছরের (১৭ জুলাই) হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সাদিকুর রহমানের আদালতে ছানু মিয়া জায়গার বৈধ কাজগপত্র উপস্থাপন করতে না পারায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। এতে আমি আদালতে রায় পাই এবং প্রমান হয় কাগজেপত্রে প্রমাণে আমরা উক্ত জায়গার মালিক। ইতিমধ্যে ছানু মিয়া আমাকে এবং আমার পরিবারকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে ডাকাতি,হুমকিসহ বিভিন্ন ধারায় ৫টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এবং প্রতিনিয়ত আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। মামলায় পরাজিত হয়ে বেপরোয়া ছানু মিয়া পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। এরপ্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানার ওসিসহ বিশিষ্ট মুরুব্বিয়ান সালিশের মাধ্যমে উক্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি করা জন্য বলেন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় আদালত কর্তৃক রায় পাওয়ার পরও গত (৩০) জুলাই নবীগঞ্জ থানায় সালিশ বৈঠকে উপস্থিত হই।
ছানু মিয়ার পক্ষে তার কেয়ারটেকার আব্দুল বাতির উপস্থিত হন। উক্ত সালিশ বৈঠকে- যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহেদ, থানার ওসি ডালিম আহমেদ, ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম, গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক সামছুউদ্দিন খান, কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান, দেবপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ রিয়াজ নাদির সুমন, ইউপি সদস্য জাহেদ আহমেদ, বিশিষ্ট মুরুব্বি শেখ আলমগীর, নুর হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, জুনেদ মিয়া, কাজী আওয়াল, আরজান মিয়া উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সালিশ-বৈঠকে মানবিক দৃষ্টিকোন বিবেচনায় আমার জায়গার উপর দিয়ে ছানু মিয়াকে ৮ ফুট জায়গা দেয়ার জন্য বলা হয়। এর বদলী জায়গার হিসেবে ছানু মিয়ার মালিকানাধীন জায়গায় আমাকে ৮ ফুট জায়গা দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। আমার নানা অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সম্মানার্থে উক্ত সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেই। ছানু মিয়া ও তার কেয়ারটেকার আব্দুল বাতিরে উক্ত সিদ্ধান্ত মেনে নেন।
(৬ আগস্ট) নবীগঞ্জ থানার ওসিসহ বিশিষ্ট মুরুব্বিয়ানরা সরেজমিনে জায়গা বন্টনে আসলে ছানু মিয়া পূর্বের সিদ্ধান্ত মানবেন না বলে মুরুব্বিয়ানদের জানান। ফলে হতাশ হয়ে ওসিসহ মুরুব্বিয়ানরা ফিরে যান। প্রকৃত পক্ষে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অন্যায় ভাবে বলপ্রয়োগ করে আমার জায়গা দখল ও আমার ক্ষতিসাধন করাই ছানু মিয়ার লক্ষ্য উদ্দেশ্যে। আমার বৃদ্ধ বাবা-মা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে এসে ছানু মিয়া কর্তৃক বিভিন্ন হয়রানী শিকার হয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং জনসাধারণকে বিভ্রান্ত না করার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রতিবাদকারী
জমসেদ মিয়া
পিতা: লাল মিয়া
গ্রাম: সদরঘাট