নবীগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা মো. তুহিনের ফাঁসির দাবিতে বিএনপির মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নবীগঞ্জে রাজনৈতিক অস্থিরতা তীব্র রূপ নিয়েছে। পূর্ববর্তী সরকারের সময় সাধারণ মানুষের ওপর সংঘটিত নির্যাতন ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিচার দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে স্থানীয় বিএনপি ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
গতকাল শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ সড়কের পাশে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. তুহিন আহমেদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মো. তুহিন আহমেদ, তার বাবা মো. ফরুক মিয়া এবং বড় ভাই মো. হোসাইন আহমদ- এই তিনজনকেই দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে তুহিনের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন, হামলা ও বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে যার বিচার দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত ছিল। বর্তমানে তুহিন ও তার পরিবারের সদস্যরা সবাই পলাতক। ৫ আগস্টের ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের বসতবাড়িতে আগুন দিলে ঘর পুরোপুরি পুড়ে যায়।
এলাকাবাসীর দাবি, “তুহিনকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে।”
এদিকে হবিগঞ্জ আদালতে মো. তুহিন আহমেদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ইতিমধ্যে চলমান রয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলেন, অপরাধী যেই হোক, তার বিচার হওয়া জরুরি। পালিয়ে দেশের আইন থেকে কেউ রেহাই পাবে না।
বিক্ষোভে বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, তুহিন যেখানেই লুকিয়ে থাকুক তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা উচিত। অনেকেই বলেন, তুহিনের বাবা যদি পলাতক থাকেন, তাকেও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গত (১৭ নভেম্বর) গণহত্যা মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছে। একইভাবে নবীগঞ্জের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা মো. তুহিন আহমেদের বিরুদ্ধেও হবিগঞ্জ আদালতে একটি হত্যা মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো মো. তুহিন আহমেদকে আওয়ামী লীগের পক্ষপাতমূলক নানা বক্তব্য দিতে দেখা যাচ্ছে। তিনি বর্তমান সরকারকে “অবৈধ” বলে আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করলেও, তার অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।



