নবীগঞ্জে ইউএনও অফিস ঘেরাও করে চা শ্রমিকদের মানববন্ধন
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জুলাই ২০২৩, ৬:১১ অপরাহ্ণবকেয়া মজুরি-বোনাস, উৎসব ভাতা, ভবিষ্যত তহবিলের টাকা, চিকিৎসা, স্থায়ী বাসস্থান নিশ্চিত করণসহ ৭ দফা দাবীতে এবার হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চা শ্রমিকরা।
বুধবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের শ্রমিকরা। এ সময় দাবী না মানলে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের ৩৬০ জন শ্রমিকের চা-বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা-সংসদ ও বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে সম্পাদিত বিগত শ্রমচুক্তি মোতাবেক শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি/এরিয়ার অর্থ বাবদ ২০১৯-২০ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরের বকেয়া ৮১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, এরিয়া বোনাসের ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, চা বাগান শ্রমিক ভবিষ্যত তহবিলের (পিএফ) ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা মালিক পক্ষ পিএফ কার্যালয়ে জমা প্রদান না করার ফলে অবসর প্রাপ্ত শ্রমিকগণ পিএফ অর্থ পাচ্ছেন না। এছাড়া চা শ্রমিকদের রোদ-বৃষ্টিতে বাসস্থানে অবস্থান করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত তারা। গত ২৫ জুন চা শ্রমিকদের ৭ দফা দাবী বাস্তবায়ন করার জন্য ইমাম টি এস্ট্রেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবর লিখিত ভাবে জানায় চা শ্রমিকরা। মালিকপক্ষ সারা না দেয়ায় ৩ জুলাই থেকে কর্মবিরতী পালন করছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন বালিশিরা ভ্যালীর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শুভাশিষ দাশ বলেন, চা শ্রমিকদের দাবী মেনে নেওয়ার জন্য প্রথমে বাগান কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে আমরা চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করি। কিন্তু দাবী না মানায় আমরা প্রথমে মহাসড়ক ও আজকে ইউএনও অফিস ঘেরাও করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি, দাবী না মানলে বৃহৎ আন্দোলনে যাবো।
এ প্রসঙ্গে ইমাম টি এস্ট্রেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি শুরু থেকে বলে আসছি এরিয়া অর্থ, বোনাস ও পিএফের টাকা ১৫ জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে। তবে চা শ্রমিকদের নিয়মিত বেতনসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা অব্যাহতভাবে দেয়া হচ্ছে।