সোমবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ইউএনও মো. রুহুল আমিন। উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান, পানিউমদা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. গোলাম নবী তালুকদার, ইউপি সদস্য আরজদ আলী, জহির আহমদ জয়, খায়রুল, ফজল, মখলু চৌধুরী, দুদু, ইউপি সচিব মো. সিদ্দিক আলী, বায়োজিত উল্লাহ, শামীম আহমেদ মহসিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, চক শংকরপুর এলাকার কিছু ব্যক্তির দখলে থাকা বিজনা নদীর অংশ আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এর মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। পাশাপাশি উভয়পক্ষ পূর্বের ন্যায় নিজ নিজ স্থানে অবস্থান করবেন এবং নদীতে থাকা বেড়, জাল, কারেন্ট জাল, গাছের ডাল-পালা ও বাঁশের খুঁটি সরিয়ে নেওয়া হবে।
বিরোধ নিষ্পত্তির ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে এবং বড় ধরনের সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
এর আগে সোমবার সকালেই বানিয়াচং আর্মি ক্যাম্পের একটি দল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় দুই পক্ষই সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দেন, তারা কোনো ধরণের সংঘাতে জড়াবেন না।
উল্লেখ্য, উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের চক শংকরপুর গ্রামের কিছু ব্যক্তি বিজনা নদীর একটি অংশ দখল করে লীজ দেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পানিউমদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পানিউমদা, কুর্শা, বরকান্দি, বড়গাঁও, বুড়িনাও, রোকনপুর ও বড়চর গ্রামের শতাধিক মানুষ এক প্রতিবাদ সভা করেন। সভায় বক্তারা দাবি করেন, ব্রিটিশ আমল থেকে ৭ মৌজার মানুষ বিজনা নদীতে মাছ শিকার ও চাষ করে আসছেন এবং প্রতিবছর শীত মৌসুমে ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসব পালন করেন। তারা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ ও নদী সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার দাবি জানান।ইউএনও মো. রুহুল আমিনের সময়োপযোগী পদক্ষেপে সেই দীর্ঘদিনের সামাজিক উত্তেজনার অবসান ঘটায় এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।