নায়িকার মতোই জেল থেকে বের হলেন পরীমনি। হুড খোলা একটি গাড়িতে করে কাশিমপুর থেকে ঢাকায় ফেরার আগে ভক্তদের অনেকের সঙ্গেই হাত মেলান, তাঁদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান এই অভিনেত্রী। এ সময় তাঁর হাতের তালুর ওপর মেহেদি দিয়ে লেখা একটি ইংরেজি বাক্য অনেকেরই মনোযোগ আকর্ষণ করে।
বাক্যটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে নানান জল্পনা–কল্পনা ও প্রশ্ন। কথাটি দিয়ে আসলে কী বলতে চাইছেন পরীমনি? ২৮ দিনের কারাবাসে তাঁর কী উপলব্ধি হলো? এমন অনেক প্রশ্ন।
পরীমনির ডান হাতের তালুতে মেহেদি দিয়ে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। তার নিচে এমন একটা প্রতীক তিনি ব্যবহার করেছেন, শোভন বাংলায় তার অর্থ হতে পারে ‘গোল্লায় যাও’। এই সব কথা ও প্রতীক দিয়ে আসলে কী বলতে চাইছেন পরীমনি? কাকে বিচ বলতে চাইছেন? রাগে, অভিমানে নিজেকেই কি ‘বিচ’ বলে গালি দিয়েছেন পরীমনি? বলতে চেয়েছেন, ‘আমাকে ভালোবেসো না, আমি খারাপ’? নাকি চারপাশের মানুষদের উদ্দেশে শব্দটা ব্যবহার করেছেন এই ঢালিউড চিত্রনায়িকা। বলার চেষ্টা করেছেন, ‘আমাকে ভালোবাসিস না।’
গ্রেপ্তারের পর আশপাশের কাছের মানুষদের হয়তো হাড়ে হাড়ে চিনেছেন পরীমনি। দীর্ঘ এই জেলযাত্রায় সুসময়ের অনেকেই তাঁর পাশে ছিলেন না।
এমনকি তাঁদের অনেকেই পরীমনির কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছেন। নানাভাবে তাঁকে অপরাধী প্রমাণের চেষ্টা করেছেন তাঁরা। তাঁর প্রিয় চলচ্চিত্র পরিবারের অনেক অভিনয়শিল্পী ও দীর্ঘদিনের সহকর্মী পর্যন্ত তাঁর ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন। তাঁরা চুপ ছিলেন।
পরীমনির অভিভাবক সংগঠন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভূমিকাও ছিল নেতিবাচক। সমিতির নেতারা তাঁর আইনি সাজা হওয়ার আগেই তাঁকে শাস্তি দিয়েছেন। সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে সদস্যপদ স্থগিত করেছেন।
এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, পরীমনির ঘটনাটি চলচ্চিত্র তথা শিল্পীসমাজের জন্য বিব্রতকর। কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না শিল্পী সমিতি। তাঁদের মামলা চলমান থাকায় পরীমনির সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় সংগঠনের অনেকেই নানাভাবে বলার চেষ্টা করেছেন, পরীমনির এই শাস্তি প্রাপ্য ছিল।