হাওর-বিলে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ছড়াছড়ি !
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ আগস্ট ২০২০, ৭:০৬ অপরাহ্ণসিলেটের ওসমানীনগরের হাওর, খাল-বিল ও জলাশয়ে মাকড়শার জালের মতো ছড়িয়ে আছে নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল। এক শ্রেণির লোভী মাছ শিকারী সরকারি বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করে অবৈধ উপায়ে মাছ ধরছে। উপজেলার অসংখ্য হাওরসহ খাল বিলে এসব জালে আটকে মারা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণী।
হাওর পাড়ের বাসিন্দারা জানান, কতিপয় অসাধু মাছ শিকারীদের অপতৎপরতায় প্রতিটা জলাশয় মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে। দেশীয় প্রজাতির নানা প্রকার মাছের পোনাসহ ডিমওয়ালা মা মাছ এই জালের ফাঁদে আটকা পড়ে নিধন হওয়ায় দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ এখন ওসমানীনগরে বিলুপ্ত প্রায়।
উপজেলার কালাসারা, দয়ালং, মেরুয়া, বানাইয়া, মোক্তারপুর, পেকুয়া, হাউনিয়া, কালনী, রুনিয়াসহ প্রতিটা হাওর ও ছোট বড় জলাশয়ে প্রতিদিন নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ আহরণ করা হচ্ছে দেদারছে। জালে আটকে মা মাছ থেকে শুরু করে ছোট বড় মাছ, ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়া, কাঁকড়াসহ সকল প্রকার জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। ফলে জলজ পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি ঘনিয়ে আসছে।
মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা আতিকুল হকসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, প্রতি বছর এভাবে জলাশয়গুলোর ঘনঘন স্থানে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পোতা হলেও মাঝে মধ্যে উপজেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ লোক দেখানো অভিযান ছাড়া আর কিছুই হয় না। তাছাড়া হাটবাজারে প্রকাশ্যে এসব কারেন্ট জাল বিক্রি করা হলেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে ওসমানীনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. মাশরুফা তাসনিম বলেন, অবৈধ জালের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। বুধবারও উপজেলার পীরেরবাজার বাজার এলাকার ঝাপা
র খালে অভিযান পরিচালনা করে ৬টি অবৈধ জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, উপজেলা মৎস্য বিভাগের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত জুলাই মাসে হাতে গোনা কয়েকটি জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করে দায়সারা গোছের ‘মৎস্য সপ্তাহ ২০২০’ পালন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সাংবাদিকদের আড়ালে রেখে এসব কর্মসূচি পালন করায় বর্তমান সরকারের দেশকে মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ করার মহৎ এ উদ্যোগ জনগণের নিকট সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না।