হবিগঞ্জ-সিলেট রুটে বিআরটিসির বাস চলাচল বন্ধ রাখতে মরিয়া বেসরকারি বাস সার্ভিস সংশ্লিষ্টরা, তারা একাধিক স্থানে অবস্থানও নেয়। তবে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ চায় যে কোনো মূল্যে তাদের চলবেই। এমন পরিস্থিতিতে হবিগঞ্জ থেকে পুলিশ পাহারায় সিলেটে পাঠানো হয়েছে বিআরটিসির একটি বাস।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসটি সিলেট টার্মিনালে গিয়ে পৌঁছা রাত ৮টায়। হবিগঞ্জ টার্মিনাল থেকে শায়েস্তাগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছে দেয় সদর মডেল থানা পুলিশ। সেখান থেকে বাসটিকে এগিয়ে দিয়েছে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ। এরপরও গন্তব্যস্থল পর্যন্ত স্থানে স্থানে ছিল পুলিশের পাহারা।
বিআরটিসি বাস সার্ভিস সিলেট ডিপো ব্যবস্থাপক জুলফিকার আলী বলেন, রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে রুদ্ধদার বৈঠক হবে। এর আগে বিআরটিসির কোনো বাস যেন না চলে; সেজন্য বেসরকারি বাসের শ্রমিকরা মরিয়া। তারা স্থানে স্থানে অবস্থানও নিয়েছে। কিন্তু আমরা চাই যে কোনো মূল্যে বিআরটিসির বাস চলবেই।
তিনি আরও আরও জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বিআরটিসি বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনিও চান যে কোনো পরিস্থিতিতে বাস চলবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট থেকে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে বিআরটিসির একটি বাস হবিগঞ্জে যায়। ঝুঁকি থাকায় বাসটিকে রাতে সেখানে রাখা হয়নি। সেজন্য পুলিশ পাহারায় সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় সিলেট থেকে একটি বিআরটিসির বাস হবিগঞ্জ টার্মিনালে আসে। সেখানে তিনিসহ পুলিশ সদস্যরা ছিলেন। ৩০ মিনিট বাসটি টার্মিনালে অবস্থান করে এবং পরবর্তীতে পুলিশের পাহারায় সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, আসা এবং যাওয়ার পথে বিআরটিসির বাসকে তারা প্রটোকল দিয়েছেন।
অন্যদিকে হবিগঞ্জ জেলার অধিকাংশ নাগরিকরাই চান সরকারি পরিবহনের বাস চলাচল অব্যাহত থাকুক। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
গত ২২ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ-সিলেট রুটে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ রুটে প্রতিদিন এখানে ৬টি করে মোট ১২টি গাড়ি চলার কথা।
কিন্তু উদ্বোধনের ৫ দিনের মাথায় ২৭ ডিসেম্বর সকাল থেকে ওই সড়কে বিআরটিসি বাস চলতে দেননি ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তারা বিআরটিসি পরিবহনের কাউন্টার এবং বাসে ভাঙচুরও করেন।