হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল সংসদে পাস
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১:১৩ অপরাহ্ণহবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২০ বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিলটি প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এর আগে বিলটি বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি হয়।
হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনটি গত বছরের গত ২৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। পরে বিলটি গত ২৩ জুন সংসদে উত্থাপিত হলে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। স্থায়ী কমিটি ৭ সেপ্টেম্বর বিলটির প্রতিবেদন জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করে।
বিলটিতে ৫৪টি ধারা হয়েছে। এতে সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন, সংজ্ঞা ছাড়াও আচার্য, উপাচার্যের দায়িত্ব কর্তব্য, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও অর্থ কমিটি সম্পর্কিত বিধান আছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি অনুষদ থাকবে বলে বিলে বিধান রাখা হয়েছে। অনুষদগুলো হলো- কৃষি অনুষদ, মৎস্য অনুষদ, প্রাণি চিকিৎসা ও প্রাণিসম্পদ বিজ্ঞান অনুষদ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ।
কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে কৃষি বিজ্ঞানে উন্নত শিক্ষাদানের পাশাপাশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রচলিত অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি এবং নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ দেশে কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার সম্প্রসারণের লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলায় এই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে কৃষি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করার লক্ষ্যে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা অতীব প্রয়োজন ও যুক্তিযুক্ত।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ নিউফিল্ডে এক জনসভায় জেলাবাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট তিনটি দাবি উপস্থাপন করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির। এগুলো হলো, হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা বাস্তবায়ন এবং বাল্লা স্থলবন্দর। ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ’। উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে শায়েস্তাগঞ্জ। চলমান রয়েছে বাল্লা স্থলবন্দরের কাজও। এখন শুধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দৃশ্যমান হলেই পুরণ হবে প্রধানমন্ত্রীর এই চার প্রতিশ্রুতি।