প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হবিগঞ্জ থেকে করোনার টিকা নেবেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজেই এ ঘোষণা দেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে টিকা এসেছে সেটি অত্যন্ত নিরাপদ। তাই গুজব না ছড়িয়ে সবাইকে টিকা নিতে হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী করোনার সামনের সারির যুদ্ধাদের পরই ৫৫ বছরের অধিক বয়স্ক ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। যার জন্য সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল থেকে আনুষ্ঠানিক এ কার্যক্রম শুরু হবে। ইতোমধ্যে টিকা প্রয়োগের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জেলায় করোনার টিকা প্রয়োগের জন্য ২৪টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ২ জন ভ্যাকসিন ডোজার এবং চারজন করে স্বেচ্ছাসেবি থাকবে। সেই হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ৮টি বুথ স্থাপন করা হবে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২টি করে বুথ বসানো হবে। পাশাপাশি জেলায় দুটি বুথ স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে। প্রয়োজনে তাদেরকে কাজে লাগানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মর্জিনা আক্তার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জল, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাসুদ আলী ফরহাদসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।