সিলেটে বন্যার গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫২১ কিলোমিটার সড়ক
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০২০, ৪:৪৪ অপরাহ্ণসিলেটে এলজিইডির আওতাধীন মোট রাস্তা ৭৫১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানা তিনদফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫২১ কিলোমিটার সড়ক। যেখানে ক্ষতির পরিমাণ ২৬০ কোটি টাকা। প্রথম দুইদফা বন্যায় কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও গোলাপগঞ্জের গ্রামীণ সড়কগুলোতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি থাকলেও তৃতীয় দফা বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্ত সিলেটের ৯ উপজেলা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই ৯ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। তবে সরকারি বরাদ্দ হাতে আসলে দ্রুত মেরামত কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যার পানিও নেমে গেছে দিন পনের আগে। তবে গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে বন্যা রেখে গেছে তার ভয়াবহতার ছাপ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি সেতু ও সেতুর সংযোগ সড়ক। আধা পাকা ও ব্রিক সলিং রাস্তাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি জলের তোড়ে ধ্বসে গেছে অনেক সড়ক নিশানা হারিয়েছে।
প্রথম দুইদফা বন্যায় কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও গোলাপগঞ্জের গ্রামীণ সড়কগুলোতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি থাকলেও তৃতীয় দফা বন্যা শেষে তা ছড়িয়ে পড়েছে সিলেটের প্রায় ৯ উপজেলায়। এতে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
এলজিইডি সিলেটের তথ্য অনুযায়ী দিন-দুয়েকের ব্যবধান রেখে সিলেটে টানা তিনদফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫২১ কিলোমিটার সড়ক। যেখানে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৬১ কোটি টাকা।
এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফ ‘জাগো নিউজকে’- জানান, ‘প্রথম দফায় বন্যা হওয়ার পর আমরা একটি তালিকা তৈরি করে প্রধান প্রকৌশলী বরাবর পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে দেখা গেলো ২য় এবং ৩য় দফায় বন্যা হয়েছে। এর পর আমরা আবার একটি তালিকা তৈরি করেছি। আমাদের তালিকা অনুযায়ী সিলেট জেলায় মোট ৫২১ কিলোমিটার সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তের পরিমাণ ২ শত ৬০ কটি টাকা। তবে এ টাকার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। কারণ অনেক রাস্তা এখনো পানির নিচে রয়েছে। পানি সরলে সঠিক হিসেব বুঝা যাবে।’
তিনি আরও জানান, সরকার থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। শীঘ্রই ঢাকা থেকে একটি টিম আসবে। তারা এসে যাচাই বাছাই করে তার পর টেন্ডারের মাধ্যমে সংস্কার কাজ করা হবে।
এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফ চলতি বছরের কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়ে ‘জাগো নিউজকে’- বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে চলতি বছরেই কাজ শেষ করা। কারণ করোনার কারণে আমরা অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও এ অর্থ বছরে সকল সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।’ সরকার থেকে বরাদ্দ পেলে চলতি বছরেই সকল সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে ভয়াবহ এ বন্যা তেমন কাবু করতে পারেনি সড়ক ও জনপথের আওতাধীন স্থানীয় মহাসড়কে। যে সামান্য ক্ষতি হয়েছে তা ইতোমধ্যেই সংস্কার করে ফেলেছেন বলে জানালেন সওজ সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী রিতেশ বড়ূয়া।
বন্যার পর থেকে ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে বড় ধরণের ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তবে সংস্কারের মাধ্যমে রাস্তাগুলো দ্রুত চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠবে এমন প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।