সিলেটেও নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ছিলেন সেই সাহেদ
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুলাই ২০২০, ১:৫৫ অপরাহ্ণপ্রতারণার শেষ নেই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম ওরফে মো. শহীদের। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসার মতো একে একে ফাঁস হচ্ছে তার সব অপকর্মের তথ্য। তার সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে সব ব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
তাকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছেন র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গ্রেফতার হতে পারেন যে কোনো সময়। তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হাসপাতালের আড়ালে পাওয়া গেছে টর্চার সেল। একসময় হাওয়া ভবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাহেদ কীভাবে রাষ্ট্রীয় সব অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেতেন সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে দেশের মন্ত্রী, এমপিসহ ভিআইপিদের সাথে তার ছবি। এসব ছবি নিয়ে অনেকেই নানা মন্তব্য করছেন। দলীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে ছবি তুলতেন তিনি।
ফেসবুকে পাওয়া যায় সাহেদের সিলেটে আসার কয়েকটি ছবি। ২০১৮ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় এসেছিলেন তিনি। এসময় নির্বাচনী কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে বসে থাকার ছবিও ভাইরাল হয় ফেসবুকে।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গেও রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদের ছবি ঘুরপাক খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাদের পাশে থাকা সাহেদের ছবি দেখে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে তার উপস্থিত থাকারও ছবি দেখা গেছে। জানা গেছে, সাহেদের প্রতারণার বিষয়ে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে আগেই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তার পরও একের পর এক প্রতারণা করেই যাচ্ছিলেন সাহেদ।
করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবার নামে প্রতারণা ছাড়াও নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও প্রতারণা করতেন তিনি। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন তার স্ত্রীও। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে স্ত্রীর মুখে উঠে আসে তার নানা অপকর্মের চিত্র। তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই সেগুলো জানানো হবে। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, সাহেদকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তার সবকিছু নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।