সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ আগস্ট ২০২০, ৮:৩৯ অপরাহ্ণমৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের আকাশ ছেয়ে গেছে কালো মেঘে। ফলে কোথাও কোথাও অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী তিনদিন পর এ অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার (১৬ আগস্ট) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামীকাল সোমবার সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতিভারী (৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। তবে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের কোনো শঙ্কা নেই। এদিকে টানা পাঁচদিন ধরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্র ও নদীবন্দগুলোতে সতর্ক সংকেত বলবৎ রাখা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা-গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে এবং বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের, অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।