সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৪:৩৫ অপরাহ্ণএকটা জীবনে যেমন থেকে যায় অনেক কিছু দেখা ও শিখার আক্ষেপ। আবার মিলে যায় অবিশ্বাস্য কিছু ভাল অভিজ্ঞতাও। এমন গতানুগতিক জীবনেরই একজন আমি। তবে কর্মক্ষত্রে অনেক অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি পেয়েছি। যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এসবের একটি হল হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ, আর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর ছিল হবিগঞ্জবাসীর জন্য ঐতিহাসিক দিন। সেদিন নিউফিল্ডে এসেছিলেন জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ একটি মাস সকলের শ্রম-ঘাম আর উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ হয়ে যায় দেশরতœ চলে যাওয়ার পরপরই। তবে প্রধানমন্ত্রী এমন কিছু উপহার দিয়েছেন; যা হবিগঞ্জের ইতিহাসকে সারাজীবন আলো দেবে। এখনও বলি এই পাওয়াগুলো আসলেই আমার কাছে অবিশ্বাস্য ছিল।
লক্ষ্য করছিলাম জনসভার আগ থেকেই শত ব্যস্ততার মাঝেও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় এমপি এডভোকেট মোঃ জাহির মহোদয় ভাবতে লাগলেন জাতির জনকের কন্যার কাছ থেকে কি আদায় করা যায়? বলছিলেনও না কাউকে কোনকিছু এ ব্যাপারে। তবে জনসভার আগের রাতে কিছুক্ষণের জন্য বসলেন সাংবাদিক আলমগীর ভাই ও আমিসহ আমাদের কয়েকজনকে নিয়ে। জানালেন, তিনি কি চান? আমাকে বললেন, তুমি কম্পিউটারে টাইপ করো, আমি বলে যাচ্ছি। একে একে বলতে লাগলেন অবিশ্বাস্য চাওয়াগুলো…. আমিও লেখতে লাগলাম নিরব ভূমিকায়।
১। মেডিক্যাল কলেজ ২। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৩। শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলায় রূপান্তর ৪। বাল্লা স্থলবন্দর।
ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুবাধে মানুষটির অনেক বৈশিষ্টই আমার জানা। সেই অভিজ্ঞতা থেকে দাবিগুলো টাইপ করার সময় কিছু বলছিলাম না। তবে লেখা শেষ হওয়ার পর মুখ বন্ধ রাখতে পারলাম না। এমপি মহোদয়কে বললাম, এসব কি সম্ভব? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি এত বড় দাবিগুলো মেনে নেবেন? তখন তিনি মুছকি হাসি দিয়ে বললেন, আরে যাও, ওসব তোমরা বুঝবা না। এখানে জাতির জনকের কন্যা আসতেছেন। অবশ্যই সম্ভব হবে ইনশাল্লাহ। অবশেষ জনসভায় দাবিগুলো উত্থাপন করলেন এমপি মহোদয়। প্রতিশ্রুতি দিয়েও দিলেন জননেত্রী।
জনসভার কয়েক বছর পরই হয়ে গেল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিষ্ঠা পেল দেশের সর্বশেষ উপজেলা হিসেবে, চলমান বাল্লা স্থলবন্দরের কাজও। এবার আমরা পেয়ে গেলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারটি প্রতিশ্রুতির শেষ প্রতিফলন। ভেঙ্গে গেল আমার অবিশ্বাস। হবিগঞ্জে হচ্ছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও। এত ভাল অনুভূতিগুলো লিখে বুঝানোর মতো মেধা আমার নেই। তবে খুব কাছে থেকে এসব দেখে এবং অভাবনীয় কাজগুলোর সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে নিজেকে আজ ধন্য মনে করছি…#জয়তু জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন কর্মবীর এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি মহোদয়#
লেখক : রাজনৈতিক কর্মী