যেসব খাবার মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২০, ৬:১১ অপরাহ্ণএকটি পরিচিত সমস্যা মাথাব্যথা। বিভিন্ন গবেষায় দেখা গেছে, গোটা বিশ্বের অর্ধেক মানুষই কোনো না কোনো সময় মাথাব্যথায় ভোগেন। হঠাৎ করে মাথাব্যথা শুরু হলে কিংবা একটানা তা চলতে থাকলে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়।
বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে খাদ্যাভাস, পানিশূন্যতা, বাড়ি কিবা কর্মক্ষেত্রের কাজের পরিবেশসহ নানা শারীরিক সমস্যা উল্লেখযোগ্য। মাথাব্যথার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলো মাইগ্রেন, টেনশনজনিত মাথাব্যথা এবং সাইনাস।
বেশিরভাগ ক্ষেতেই মাথাব্যথা ক্ষতিকর নয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা বড় কোনো অসুখের উপসর্গ হতে পারে। যেমন- স্ট্রোক, ব্রেন টিউমার ইত্যাদি। সাধারণ মাথাব্যথা বিভিন্ন উপায়ে কমানো যেতে পারে। যেমন-যোগব্যায়াম, খাদ্যাভাস ও ঘুম। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো মাথাব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে। যেমন-
কলা : মাথাব্যথা কমানোর সবচেয়ে সাধারণ এবং সহজ সমাধান হলো কলা। এই ফলটি পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তনালীগুলো শিথিল করে দেয়। ফলে সহজেই মাথাব্যথা হ্রাস পায়।
কফি : অল্প পরিমাণে কফি খেলেও তাৎক্ষণিকভাবে মাথাব্যথা কমে যায়।
কাজুবাদাম : মাথাব্যথা কমানোর অন্যতম স্বাস্থ্যকর খাবার হচ্ছে কাজুবাদাম। ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এই বাদাম রক্তনালী শিথিল করে মাথাব্যথা কমাতে সহায়তা করে। বিশেষ করে যারা মাইগ্রেনে ভুগছেন তারা প্রতিদিন তিন থেকে চারটি কাজুবাদাম খেতে পারেন।
সিদ্ধ আলু : মাথাব্যথা কমাতে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের জুড়ি নেই। সেক্ষেত্রে সিদ্ধ আলু খেতে পারেন। এতে থাকা পটাশিয়াম মাথাব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে।
পালং শাক : ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি মাইগ্রেনের মাথাব্যথা নিরাময়ের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর । গবেষণায় দেখা গেছে পালং শাকে মাইগ্রেন-উপশমকারী শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ কারণে এ ধরনের মাথাব্যথা অনুভূত হলে এক কাপ সিদ্ধ পালং শাক খেতে পারেন।
ফ্ল্যাক্সসিড : ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় ফ্ল্যাক্সসিড মাথাব্যথা নিরাময়ে বেশ কার্যকর।
ব্রকলি : সবুজ শাকসবজি কেবলমাত্র স্বাস্থ্যকরই নয়, এগুলো স্বল্প-অ্যালার্জেন এবং ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উত্সও বটে। মাইগ্রেনের মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সিদ্ধ ব্রকলির সঙ্গে এক চিমটে গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন।
কম ফ্যাটযুক্ত দুধ : পানিশূন্যতার কারণে মাথাব্যথা হলে অল্প ফ্যাটযুক্ত দুধ খেতে পারেন। এতে থাকা ক্যালসিয়াম এবং পটাশিোম শুধু সোডিয়ামের মাত্রাই নিয়ন্ত্রণ করে না উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আদা : আদায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-হিস্টামাইন উপাদান মাথাব্যথা নিরাময় করতে সাহায্য করে। যদি ঠান্ডা লাগা বা সর্দির কারণে মাথাব্যথা হয় তাহলে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এক টুকরো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন।
টক দই : কখনও কখনও ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে। সেক্ষেত্রে টক দই খেতে পারেন। এতে থাকা উপকারী প্রোবায়োটিক মাথাব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখবে। সূত্র : বোল্ড স্কাই