Logo

মানি লন্ডারিং মামলায় সাবেক যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ন্যাশনাল ডেস্ক
জাগো নিউজ : রবিবার, আগস্ট ২, ২০২০

image_pdfimage_print

ফরিদপুরে মানি লন্ডারিং মামলায় আসিবুর রহমান ফারহান (৪০) নামে এক সাবেক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে শহরের পূর্ব খাবাসপুর লঞ্চ ঘাট এলাকাস্থ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ।

আসিবুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর লঞ্চ ঘাট এলাকার শওকত মো. কামালের ছেলে। আসিবুর শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ফরিদপুরে সোনালী ব্যাংকের কাছে ছিনতাই হয়। ওই ঘটনায় মারা যান ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক সেবিকা। এ ঘটনার সঙ্গে আসিবুরের ক্যাডার বাহিনী জড়িত এ বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তিনি আত্মগোপন করেন।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, আসিবুরকে ঢাকার কাফরুল থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দায়ের করা মামলায় সিআইডির চাহিদা অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তাকে শনিবার বিকেলে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরে তাকে ফরিদপুর জেলখানা থেকে নিজেদের জিম্মায় নেবে সিআইডি।

সিআইডির চাহিদা অনুযায়ী ফরিদপুরের পুলিশ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টা থেকে শনিবার দিবাগত রাত ৩টা পর্যন্ত আসিবুরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

অন্য দুইজন হলেন-ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভি (৬১) এবং জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন (৫৪)।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, নাজমুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন ও আসিবুর রাহমানকে মানি লন্ডারিং মামলায় সিআইডির চাহিদা অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করে সিআইডি। এ মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

সিআইডি এ মামলায় দুই ভাইয়ের ১০দিনের রিমান্ড চান। গত ১৩ জুলাই ভার্চুয়াল কোর্ট-এর মাধ্যমে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় ফরিদপুর কারাগারে থাকা অবস্থায় জেল গেটে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে এ শুনানিতে অংশ নেন সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৯ জুলাই ভোরে সিআইডি দুই ভাইকে ফরিদপুর জেলখানা থেকে তাদের জিম্মায় নেন। তাদের সরাসরি ঢাকার মালিবাগস্থ সিআইডির কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। দুইদিন রিমান্ড শেষে সিআইডি গত ২১ জুলাই পুনরায় ১০দিন করে রিমান্ড চাইলে আদালত তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৪ জুলাই মোট পাঁচদিন রিমান্ড শেষ হওয়ার পর রুবেল ও বরকতকে মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

এছাড়া, গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১৮ মে সুবল সাহা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। এ মামলার আসামি হিসেবে শহরের বদরপুরসহ বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাজ্জাদ, ইমতিয়াজসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এ মামলায় বর্তমানে মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

অন্যান্য সংবাদ
Theme Created By ThemesDealer.Com
x
error: কপি করা নিষেধ !
x
error: কপি করা নিষেধ !