মাধবপুরে থানার সভাকক্ষে সংঘর্ষ : ওসিসহ আহত ১৫
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুলাই ২০২৩, ১০:১৩ অপরাহ্ণহবিগঞ্জের মাধবপুর থানা সভাকক্ষে একটি শালিসে দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ পরিদর্শক, ২ উপ-পরিদর্শক,৩ কনষ্টেবলসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মাধবপুর থানা সভাকক্ষে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, পুলিশ পরিদর্শক(ওসি তদন্ত) আতিকুর রহমান, এসআই মানিক কুমার সাহা, এসআই শুভ দে, পুলিশ কনষ্টেবল আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, আহসান হাবিব ,মাধবপুর উপজেলা প্রেস ক্লাব আহব্বায়ক এরশাদ আলী, ইউপি সদস্য বেনু মিয়া, ইউপি সদস্য মর্তুজ আলী, বেজুড়া গ্রামের সানাউল্লা, একই গ্রামের গেদু মিয়া ও কামাল মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ থেকে সরকারি অর্থায়নে বেজুড়া গ্রামে জজ মিয়ার বাড়ির সামনে গাইডওয়াল নির্মাণের জন্য পুকুর পাড়ে ৪ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। ওই গ্রামের লাল খার ছেলে হেলাল মিয়া গাইড ওয়াল নির্মাণে আপত্তি জানায়। পরে জায়গা বদল করে রইস আলী পুকুরের পাড়ে গাইডওয়াল নির্মাণের জন্য জায়গা নির্বাচন করা হয়। রইস আলী পুকুর সেচ দিয়ে গাইডওয়াল নির্মাণ করতে চাইলে হেলাল মিয়া আবার এতে বাঁধা দেয়। এ ঘটনায় হেলাল মিয়া বেজুড়া গ্রামের রইস আলীর ছেলে আলেফ খাকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের আলোকে শুক্রবার দুপুরে পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রহমান থানা সভাকক্ষে উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিস বৈঠকে বসেন। বৈঠক চলাকালে ইউপি সদস্য আরজু মিয়া মেম্বার ও সিরাজ আলীর মধ্যে বাবিতন্ডা শুরু হয়।
বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে সভাকক্ষের ভেতরে প্লাষ্টিক চেয়ার ও পাথর নিক্ষেপ করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। থানার ভেতরে এরকম মারামারির ঘটনায় মাধবপুরে প্রথম ঘটেছে।
সংঘর্ষে মাধবপুর থানাত পরিদর্শক আতিকুর রহমানসহ ৫ পুলিশ আহত হয়।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি( আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বেজুড়া গ্রামের গাইডওয়াল নিয়ে বিরোধের ঘটনায় উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাধবপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটককৃতদের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।