ব্রিটিশ আমলের রেলস্টেশন এখন ভুতুড়ে আস্তানা !
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ আগস্ট ২০২০, ৫:১৮ অপরাহ্ণব্রিটিশ আমলে এ রেলস্টেশনটি চালু হয়। সে সময় একাধিক ট্রেন থামত। পরে ধীরে ধীরে এ স্টেশনে ট্রেনের সংখ্যা কমতে থাকে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে লোকাল ট্রেনগুলোও থামছে না। এতে এ রেলস্টেশন একটি পরিত্যক্ত রেলস্টেশনে পরিণত হচ্ছে।
বলছি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সীমান্তবর্তী ঢাকা-সিলেট রুটের ব্রিটিশ আমলের সাটিয়াজুরী রেলস্টেশনের কথা ! রেলস্টেশনের রয়েছে বন্ধ । সেখানে নেই কোনো ট্রেন; স্টেশনটি দেখে মনে হয় যেন ভুতুড়ে স্থান ! চারদিকে খাঁ খাঁ করছে।
স্টেশনটি বন্ধ থাকায় এলাকার জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া নষ্ট হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকার সম্পদ।
জানা যায়, একসময় আশপাশের শতাধিক গ্রামের মানুষ এ স্টেশন থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতেন। একমাত্র যোগাযোগমাধ্যমই ছিল সাটিয়াজুরী রেলস্টেশন। সে সুবাদে যাত্রীর পদভারে মুখর থাকত এ স্টেশনটি। দিনভর থাকত কর্মব্যস্ততা।
তা ছাড়া এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এখানে স্টেশনমাস্টার না থাকায় নষ্ট হচ্ছে স্টেশনের সরকারি সম্পত্তি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রেলস্টেশন বলতে শুধু ব্রিটিশ আমলের সেই পাকা ভবনটিই আছে; তাও আবার পশুপাখির আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। অফিস কক্ষের দরজা-জানালাগুলোও ভেঙে গেছে। ভেতরে তাকালে দেখা যায়, অনেক জিনিস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। নষ্ট হচ্ছে অনেক মূল্যবান জিনিস।
সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সরকার মো. শহীদ ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবদুল হাশিম ‘জাগো নিউজ’কে জানান, এ রেলস্টেশনটি একসময় খুবই জনপ্রিয় ছিল। ১৯৯৮-৯৯ সালে সরকার স্টেশনটিকে বন্ধ ঘোষণা করলে এলাকার মানুষ অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
তিনি বলেন, আগে স্টেশনমাস্টার আপ ও ডাউন ট্রেন স্টপিজ দিতেন। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই আবারও সরকার স্টেশনটিকে বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে এলাকার প্রায় শতাধিক গ্রামের জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। এ স্টেশন থেকে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মৃৎশিল্পীরা তাদের পণ্যগুলো বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতেন। তা ছাড়া ওই এলাকার কৃষকরা খুব উপকৃত হতেন এ স্টেশনের কারণে।
এলাকাবাসীর দাবি, এ সাটিয়াজুরী রেলস্টেশনটি চালু করে ট্রেন স্টপিজ দিলে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য পাবে। দুর্ভোগ লাঘব হবে এখানকার শতাধিক গ্রামের