‘বাসায় গিয়া অখন কারে আব্বা ডাকমু’
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুন ২০২০, ৩:০৫ অপরাহ্ণকিচ্ছুক্ষণ পর বাবার দ্বিতীয় জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে একটু পরেই। লাশ সামনে রাখা। কিছুক্ষণ পরেই চিরবিদায় দিতে হবে জন্মদাতা পিতাকে। ঠিক সে সময় কি কারো দেয়া প্রবোদ মানে অবোধ হৃদয় ? তেমনই মানলো না বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বড় ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলুর ব্যথাতুর মনও। স্বজনদের শান্তনাবাণী ঠেকাতে পারলো না পিতা হারানো এক এতিম সন্তানের আহাজারিকে। মানিকপীর টিলায় বাবার লাশ সামনে নিয়ে বাধভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিপলু।
কেঁদে কেঁদে তিনি একটি কথাই বার বার বলছিলেন- ‘আমি বাসায় গিয়া অখন কারে আব্বা ডাকমু’ (আমি বাসায় গিয়ে এখন কাকে আব্বা ডাকবো)। তার এই আহাজারিতে হয়তো তখন থমকে দাঁড়িয়েছিলো চারপাশের প্রকৃতি, অদৃশ্য জলে ভিজে উঠেছিলো মানিকপীর টিলার বৃক্ষরাজির সবুজ পাতা।
নশ্বর এ পৃথিবী থেকে সবাইকে বিদায় নিতে হবে- এই চিরসত্য মেনে নিয়ে বাবার নিথর দেহকে রেখে এলেন দাদা-দাদির পাশেই। দাফনের পর বাবার জন্য সিলেটবাসীসহ দেশের মানুষে কাছে দোয়া চাইলেন আরমান আহমদ শিপলু। কামনা করলেন বাবার জন্য জান্নাত।
ডা. শিপলু কেঁদে কেঁদে সিলেটবাসীর কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চাওয়ার সময় বলেন, ‘আব্বা দীর্ঘদিন এই নগরবাসীর সেবা করেছেন। এই নগরবাসীর সঙ্গে তাঁর আত্মার সম্পর্ক। আমার বাবাকে আমরা আল্লাহর হাওলা করে এসেছি। আমরা সবার কাছে দোয়া চাই। আল্লাহপাক যেন আমার আব্বাকে জান্নাত দেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এতিম হয়ে গেছি। আমি আমার আব্বার জান্নাতের জন্য দেশবাসীর কাছে, সিলেটবাসীর কাছে দোয়া চাইছি।’
উল্লেখ্য, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।