বঙ্গবন্ধু হত্যা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অংশ – এমপি আবু জাহির
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০২০, ৩:৪৪ অপরাহ্ণহবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অংশ। যেসব দেশি-বিদেশি চক্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা ভেবেছিল, বাংলাদেশ কখনো স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যখন ঘাতকরা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করলো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পুরাইকলা বাজারে ব্রাহ্মনডুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিদ আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি আবু জাহির আরো বলেন, ‘মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু আইন করে আমাদের তেল ও গ্যাসক্ষেত্রগুলোকে বিদেশি মালিকানা থেকে উদ্ধার করে দেশের মালিকানায় নিয়ে আসেন। আজ আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ১ লাখ ১৮ হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি সমুদ্রসীমার মালিক হয়েছি। এটি কখনোই হতো না, যদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের সমুদ্র সীমা সংক্রান্ত— পরিষদ আনক্লসের সদস্য না হতেন, সেই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর না করতেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব হোসেন চৌধুরী দিলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম দীপনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন মোঃ আদিল জজ মিয়া।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান ইমরান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ সেবুল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদিকুর রহমান মুকুল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জাহির মিয়া, সুমন চন্দ্র দেব, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জালাল উদ্দিন রুয়েল, শরীফ উদ্দিন সোহাগ, রাজিব খান চৌধুরী, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আজমান প্রমুখ।
সভার শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে মিলাদ মাহফিল, দোয়া এবং তাবারুক বিতরণের মধ্য দিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।