বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এফডিসি ভালো নেই- বললেন শাকিব খান
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২০, ৫:২৩ অপরাহ্ণআজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বলতে থাকলে শেষ করা যাবে না। তিনি দল মত রাজনৈতিক সবকিছুর ঊর্ধ্বে। কারণ তিনি বাংলাদেশের স্থপতি। একজন সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বাইরেও বঙ্গবন্ধু ছিলেন সংস্কৃতিমনা মানুষ। তিনি ছিলেন চলচ্চিত্রের বন্ধু। আজকের এই এফডিসি তারই হাতে গড়া। চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠার পরপরই বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে অনেকগুলো গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নেন। এসব সিদ্ধান্তের ফলে দ্রুত চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ সম্ভব হয়।’
বঙ্গবন্ধুর চলচ্চিত্র প্রীতির কথা উল্লেখ করে শাকিব বলেন, ‘আজ ভেবে গর্ব হচ্ছে, প্রয়াত পরিচালক চাষি নজরুল ইসলাম যার নির্দেশনায় আমারও কাজ করার সুযোগ হয়েছিল, তারই মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’-এ উপস্থিত হয়েছিলেন আমাদের বঙ্গবন্ধুও। ১৯৭৪ সালে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছিল। এমন একজন মহান নেতা চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন! চলচ্চিত্রের একজন মানুষ হিসেবে এ কথাটি বলতে গিয়ে গর্বের আমার বুক ভরে ওঠে।’
এফডিসির বর্তমান অবস্থা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে শাকিব বলেন, ‘কিন্তু আজ দুঃখ মন নিয়ে জানাতে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এফডিসি ভালো নেই। ভালো নেই এখানকার মানুষগুলো। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হয়তো আজ তার হাতে গড়া এফডিসির এমন অবস্থা দেখতে হতো না। গুটিকয়েক মানুষ কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া স্বপ্নের এই এফডিসিকে দেশের আপামর মানুষের কাছে বিতর্কিত করে চলছে, প্রকৃত শিল্পীদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করেছে। কর্ম পরিবেশ নষ্ট করে চলছে; যার বিরুদ্ধে গোটা এফডিসির প্রত্যেকটা সংগঠনই এখন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যখনই সিনেমায় সুদিন দেখতে পাই, তখনই গুটিকয়েক কয়েক মানুষ নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ইন্ডাষ্ট্রিকে পিছিয়ে দেয়। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাই, আপনার বাবা তথা সমগ্র বাঙালি জাতির পিতার হাতে গড়া এই ইন্ডাষ্ট্রিকে বাঁচাতে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নিন। আপনি ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না। প্লিজ, আপনি শুধু আমাদের কাজের পরিবেশটুকু তৈরি করে দিন, বাকিটা আমরাই তৈরি করে নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা, আদর্শ, ন্যায়-নীতি, জীবন, চিন্তা, শিক্ষা ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে যদি আমরা এগিয়ে যেতে পারি, তবেই জাতির পিতার স্বপ্ন সফল হবে বলে মনে করি। আর সেই লক্ষ্যে যদি অটুট থাকা যায় তাহলে বাংলাদেশ অচিরেই একটা সোনার দেশ হয়ে গড়ে উঠবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’