পানিউমদার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে মামলার প্রতিবেদন দেয়ার অভিযোগ

জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০২২, ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষীর জবানবন্দি না নিয়ে স্বাক্ষর জাল করে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে ভুক্তভোগী স্বাক্ষী সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
জানা যায়- গত ২৭ মার্চ নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের মৃত জামাল আহমেদের ছেলে মাহিবুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদী মাহিবুর রহমান বড়গাঁও হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন। এতে এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বিয়ানকে বিবাদী করা হয়। আদালতে মামলা দায়ের করার পর আদালত মামলাটি তদন্ত পূবর্ক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পানিউমদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমানকে নির্দেশ দেন।
মামলার স্বাক্ষীর এফিডেভিট ও স্থানীয়দের অভিযোগ- বড়গাঁও হাফিজিয়া মাদ্রাসার ব্যাংক একাউন্টে ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা জমা থাকা সত্ত্বেও মামলার তদন্ত না করে আসামী-স্বাক্ষী,এলাকাবাসীদের বক্তব্য না নিয়ে এবং মামলার ৮নং স্বাক্ষী মফিজুর রহমানের ১৬১ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ না করে মফিজুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান পক্ষপাতিত্ব করে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।
চেয়ারম্যানের দেয়া প্রতিবেদনে- স্বাক্ষীর জবানবন্দি, স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যের মতামত নিয়ে এজাহারে বর্ণিত ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়
মামলার স্বাক্ষী মফিজুর রহমানের অভিযোগ- মাদ্রাসার টাকা আত্মসাত উল্লেখ করে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। মামলা দায়ের করার সময় আমাকে না জানিয়ে মামলায় ৮ নং স্বাক্ষী করা হয়, পরবর্তীতে মামলার তদন্ত করার জন্য চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে দেয়া হলে তিনি তদন্ত না করে আমার জবানবন্দি গ্রহণ না করে মিথ্যা ঘটনাকে সত্য উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে আমি তদন্ত প্রতিবেদন উত্তোলন করে দেখি এতে আমি স্বাক্ষী দিয়েছি মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার স্বাক্ষর জাল করে চেয়ারম্যান এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন যা কোনো ভাবে কাম্য নয়, আমি এফিডেভিটের মাধ্যমে এ ঘটনা আদালতকে অবহিত করেছি এবং এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের শাস্তি দাবী করছি।
পানিউমদা ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য ফজল মিয়া এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ নিয়ে পানিউমদা ইউপি চেয়ারম্যান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইজাজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- আমি স্টোকের রোগী, অনেক বিষয় আমার মনে নেই, তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলো হয়েছে তা মিথ্যা।

