নামেই হাসপাতাল !

জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ আগস্ট ২০২০, ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
শায়েস্তাগঞ্জ পশু হাসপাতাল । ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই পশু হাসপাতালটি ময়লা, আবর্জনা ও আগাছায় পূর্ণ হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। হাসপাতালের পাকা ভবন অনেক আগে ভেঙে গেলে বাঁশের বেড়া ও টিনের চাল দিয়ে তৈরি করা হয় আরেকটি ভবন।
সেটিও কয়েক বছর আগে প্রবল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে এখানে পশুসেবা বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় ও আশপাশ এলাকার খামারি এবং গবাদি পশু মালিকরা।
জানা যায়, ১৯০৩ সালে উপজেলার তালুগড়াই নামক স্থানে প্রায় ২৮ শতক জমির ওপর হাসপাতালটি স্থাপিত হয়েছিল। তৎকালীন সময় হাসপাতালে শায়েস্তাগঞ্জ অঞ্চলসহ প্রায় ১০টি চা-বাগানের পশু চিকিৎসা সেবা চলছিল। এরই মধ্যে এরশাদ সরকারের আমলে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণে হাসপাতালটির করুণ দশা সৃষ্টি হয়। বিকেন্দ্রীকরণে হাসপাতাল থেকে সবাই অন্যত্র চলে যান।
তারপরও ১ জন ভেটেনারি সহকারীর মাধ্যমে শুধু কৃত্রিম প্রজনন চালু ছিল। তিনিও চলে গেলে এখানে পশু চিকিৎসা কার্যক্রম একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে হাসপাতালটি ময়লা আবর্জনার স্তূপে ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন গবাদি পশুর মালিকরা। এখানে গত ১৭ নভেম্বর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ডা. রমাপদ দে। কিন্তু তার বসার স্থান না থাকায় একটি ভবন ভাড়া নিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রমাপদ দে ‘জাগো নিউজ’কে বলেন, যোগদান করে ভাড়া ভবন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছেন। হাসপাতালের নিজস্ব জমিতে দ্রম্নত ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
