নবীগঞ্জ পৌরসভার নারী কাউন্সিলর রোকেয়া সাময়িক বরখাস্ত
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুলাই ২০২০, ৮:০৭ অপরাহ্ণনবীগঞ্জে চলমান করোনাভাইরাসের সংকটে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২৫০০ টাকা প্রদানের ভোক্তা তালিকায় স্বামী, মেয়ে, আপন দুই ভাবী, আপন ভাইজি ও আপন ভাইর নাম অন্তর্ভূক্তের দায়ে নবীগঞ্জ পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নারী কাউন্সিলর রোকেয়া বিরুদ্ধে অনিয়ম করে নিজের স্বামী, মেয়ে, আপন দুই ভাবী, আপন ভাইজি ও আপন ভাইর নাম ২৫০০ টাকার ভোক্তা তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না এই বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে রোকেয়া বেগমকে ১০ কার্যদিবসের সময় দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মে মাসের ২৭ তারিখ নবীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা রমিজ উল্লাহ নামের এক লোক নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন- ওই ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম তার নিজ পরিবারের ৬ জনের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছেন এবং সরকারের এই অর্থ সহায়তার সুবিধা ভোগ করেছেন।
তালিকায় অন্তর্ভূত নামগুলোর মধ্যে রয়েছেন- তার স্বামী রাজু আহমেদ, তার মেয়ে রুবি বেগম, আপন ভাতিজি মেহের জাহান আক্তার, ভাবী জামিনা বেগম, ভাই রুবেল মিয়া, ভাবী হালেমা। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
রমিজ উল্লাহ তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন- তাদের ওয়ার্ডের অনেক কর্মহীন অসহায় গরীব পরিবার থাকার পরও নারী কাউন্সলরের একি পরিবারের ৬ টি নাম অন্তর্ভূত করায় এলাকাবাসীর মধ্য তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তদন্ত করা হয়। পরে তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়।
এরই প্রেক্ষিতে সোমবার কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে মর্মে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল।