নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও অফিসের কর্মচারীদের নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তারা।
গতকাল নবীগঞ্জ নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিনের বরাবর নবীগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক মোহাম্মদ আপনসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীদের যৌথ স্বাক্ষরে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সফর আলী ও অফিসের কর্মচারীদের অনিয়ম দুর্নীতি বিরাট আকার ধারণ করেছে। অভিযোগ রয়েছে একাদশ শ্রেণীর ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা ২য় বর্ষে ভর্তির জন্য ১৯০০ টাকা ও অতিরিক্ত শিওরক্যাশের মাধ্যমে ১০০ টাকা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ । এই টাকা গ্রহণের পর শিক্ষার্থীদের কোনো রশিদ দেওয়া হয় না। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনার্সে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ৪টি পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং প্রত্যেক পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা ফি নেয়া হয়। এসবের কোনো রশিদ প্রদান করা হয় না। নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের কম্পিউটার অপারেটর নয়ন মনি সরকার কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে অশুভ ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন কাজের জন্য তার কাছে শিক্ষার্থীরা গেলে কাজে করে দেয়ার নামে টাকা আদায় করেন। এর বাহিরেও উপবৃত্তির আবেদনে ১০০ টাকা বা তার অধিক টাকা গ্রহণ করাসহ অসংখ্য অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে অভিযোগ জানাতে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ সফর আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি উল্টো এবিষয়ে কোনো কথা না বলার জন্য শিক্ষার্থীদের নিষেধ করেন।
এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে শিক্ষার্থীরক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ও অফিসের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারীর পদত্যাগসহ অপসাণের দাবী জানান ।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সফর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।