হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুর্গা পুজামণ্ডপের সামনে পূজারীদের সাথে স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র ও যুবকদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সংঘর্ষে নবীগঞ্জ থানার ওসিসহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। আশংকাজনক অবস্থায় দুজনকে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া দুর্গা মন্দরিরের সামনে এঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের পাঞ্জারাই মাদ্রাসার ছাত্ররা স্থানীয় যুবকদের নিয়ে মিছিল বের করে। মিছিলটি গুমগুমিয়া গ্রামের দুর্গা মন্দিরের সামনে আসা মাত্রই পূজারীদের সাথে মাদ্রাসা ছাত্রদের বাকবিতন্ডায় হয়। এসময় দুর্গা পূজা মন্ডপের সামনেই উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করলে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমদ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০জন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনার পর হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ, সিলেটের ডিআইজি মো. মফিজ উদ্দিন, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন, সার্কেল এএসপি আবুল খায়ের ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করেন। এঘটনার পর র্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম গুমগুমিয়া গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে। ।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, পূজামন্ডপে দুর্গা পূজা শুরু হয়েছে।