নবীগঞ্জে গৃহবধূকে গণধর্ষণ : পুলিশের সাড়াশি অভিযানে আসামী সাইফুল গ্রেফতার

জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০২০, ১১:১৩ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের একটি পরিত্যক্ত ভবনে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের সাড়াশি অভিযানে সাইফুল ইসলাম (২৭) নামে মামলার ২য় আসামীকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মিনাজপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সাইফুল ওই ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের সাদিক মিয়ার পুত্র ও স্থানীয় সিএনজি চালক।
জানা যায়, সোমবার রাতভর অভিযান শেষে মঙ্গলবার দিনব্যাপী গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমানের নির্দেশে ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশের নেতৃত্বে এসআই শামসুল ইসলামসহকারে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম আউশকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। রাত ১০টার দিকে মিনাজপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে মামলার ২য় আসামী সাইফুল ইসলাম (২৭) কে গ্রেফতার করা হয়।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, মামলার ২য় আসামী সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে (৫ অক্টোবর) মঙ্গলবার ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩ জনকে অজ্ঞাত করে মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে সোমবার রাতভর ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য নিয়ে চলে নানা নাটকিয়তা। রাতভর গৃহবধূ ও তার স্বামীকে নবীগঞ্জ থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর তথ্য অনুযায়ী :- গত (৪ অক্টোবর) রবিবার দিবাগত রাতভর তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। গত (৫ অক্টোবর) সোমবার সকালে ঘটনাটি জানাজানির পর দিনব্যাপী চলে নানা নাটকিয়তা। ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন পুলিশের এসএসপি, ওসিসহ একাধিক কর্মকর্তা। পুলিশকে দেয়া জবানবন্দিতে একেক বার একেক ধরণের তথ্য দিনে মহিলা। এতে পুলিশ বিভ্রান্তিতে পড়ে।
মামলার বিবরণ ও ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় সিএনজি যোগে শেরপুর থেকে মজলিসপুর যাচ্ছিলেন। এ সময় মজলিসপুর নামিয়ে না দিয়ে গৃহবধূকে হাত পা, মুখ বেধে রাতভর বিভিন্নস্থানে নিয়ে যায় সিএনজি শ্রমিকরা। পরে আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের একটি পরিত্যক্ত ভবনে এনে রাতভর সঙ্ঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। এরপর সকালে স্থানীয় কিছু মাতব্বরা বিষয়টি রফাদফার চেষ্টা চালায়।
এদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে নবীগঞ্জ-বাহুবলের সার্কেল এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী ও নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের দুইটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে ভিকটিম গৃহবধুকে উদ্ধারসহ তার বক্তব্য সংগ্রহ করেন। এ সময় সংবাদকর্মী ও পুলিশের সামনে ধর্ষিতা গৃহবধু একেক সময় একেক ধরনের বক্তব্য দেন। পরে ধর্ষণের শিকার মহিলা ও তার স্বামীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অপর দিকে সূত্র বলছে, ধর্ষিতা নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের কালাভরপুর গ্রামের জনৈকা গৃহবধূ। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সৈয়দপুর বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। কয়েক দিন আগে সে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় এলাকায় অনেকেই চলছে আলোচনা সমালোচনা।

