নবীগঞ্জে কিশোর হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জুলাই ২০২০, ১:১৩ অপরাহ্ণনবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ঝিটকা গ্রামে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জুবায়েল আহমদ (১৫) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে । ৪দিন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত মঙ্গলবার মৃত্যু হয়। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, তারা হামলার শিকার হয়েছেন, কিন্তু হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে পুলিশ তাদের পক্ষের ৪জনকে গ্রেফতার করেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডের শিকার কিশোরের পিতাসহ গ্রেফতারকৃত স্বজনদের মুক্তির দাবীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় জনতা। এসময় গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মো. আরাফাত এর অপসারণেরও দাবী জানানো হয়।
বুধবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জে গোপলার বাজার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। এসময় প্রায় ১ ঘন্টা মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
পরে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি এরশাদুল হক ভূইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতার সাথে কথা বলে দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস প্রদান করলে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
নিহতদের পরিবারের অভিযোগ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ঝিটকা গ্রামের মসুদ মিয়া তার বীজতলায় বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের মশাহিদ মিয়া গংরাদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এরই জের ধরে গত (৩ জুলাই) শুক্রবার স্থানীয় গোপলার বাজার স্ট্যান্ডে মশাহিদ মিয়া ও মসুদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার
এক পর্যায়ে হামলা পাল্টা হামলা হয়। এসময় মশাহিদ মিয়ার পক্ষের লোক কিশোর জুবায়েল গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টায় সে মারা যায় ।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পর পর উভয় পক্ষের লোকজনকে আটক না করে শুধু হত্যাকাণ্ডের শিকার কিশোর জুবায়েল আহমদের পিতাসহ ৪ স্বজনকে গ্রেফতার করে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, নিহত কিশোরের পরিবার মামলা দায়ের করলে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।