নবীগঞ্জে ওরসে অতিরিক্ত মদ্যপান ও গাঁজা সেবনে দুইজনের মৃত্যু
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ণহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওরসের নামে অশ্লীল নাচ-গান ও মাদকের আসরে অতিরিক্ত মদ্যপান এবং গাঁজা সেবনে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। তবে বিষয়টি জানা নেই নবীগঞ্জ থানা পুলিশের।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারী) দুপুরে ও বিকেলে জানাযার নামাজ শেষে দুইজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মৃতব্যক্তিরা হলেন- ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কাকুড়া গ্রামের মৃত গেদা মিয়ার পুত্র আব্দুল কালাম(৪৫), একই ইউনিয়নের ঘোলডুবা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ(৪২)।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান- উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কাকুড়া গ্রামে হযরত নবীন শাহ্ (রহঃ) মাজার রয়েছে। প্রতিবছর এ মাজারে বার্ষিক ওরস অনুষ্ঠিত হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারী) নবীন শাহ্’র মাজারে ১৫৬ তম বার্ষিক ওরস অনুষ্ঠিত হয়। ওরসকে কেন্দ্র করে মাজারের সামনে অশ্লীল নাচ-গান ও মাদকের আসর বসে। ওরসে নাচ ও গান গাইতে আসেন বিভিন্ন নারী শিল্পীরা। এতে বিভিন্নস্থান থেকে যুবকসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের ঢল নামে। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত মদ্যপান ও গাঁজা সেবন করেন আব্দুল কালাম ও আব্দুল আজিজ। পরে অশ্লীল নাচ ও গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচতে নাচতে এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কালাম ও আজিজ। পরে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
এ প্রসঙ্গে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নোমান হোসেন বলেন- ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কাকুড়া গ্রামে নবীন শাহ্র মাজারে প্রতিবছর ওরসের নামে অশ্লীল নাচ গান ও মাদকের আসর বসে। এতে বিভিন্নস্থান থেকে আসা মানুষ মদ ও গাঁজা সেবন করে। আমি বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায়ও উপস্থাপন করেছি কিন্তু কোনো ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওরসকে কেন্দ্র করে আব্দুল কালাম ও আব্দুল আজিজ অতিরিক্ত মদ্যপান ও গাঁজা সেবন করে। পরে অশ্লীল নাচ গানে অংশ নিয়ে এক পর্যায়ে তাদের মৃত্যু হয়। শুক্রবার পৃথকস্থানে তাদের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় আমি এতে অংশ গ্রহণ করি।
এ বিষয়ে জানতে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুক আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- ওরসের নাচগানে অংশ নিয়ে কেউ মারা গেছে এমন তথ্য আমার জানা নেই।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নাম করে প্যান্ডেলের ভেতরে মেয়েদের অশ্লীল নাচ গান ও মাদকের আসর বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন উপজেলার সচেতন সমাজের লোকজন।