নবীগঞ্জে এবার আলোচনায় চেয়ারম্যান মুসা : তদন্ত যাচাইয়ে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জুলাই ২০২০, ৬:৫২ অপরাহ্ণনবীগঞ্জে কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুসার বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের সহায়তায় মাসিক ভিজিডির চাল আত্মসাত ও সঞ্চয়ের টাকা নিজের কাছে জমা রাখার অভিযোগ নিয়ে গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন ফেরত পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ৪ জুন ২৩৯ নং স্বারকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয় প্রেরণ করা হয়। প্রেরিত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে মন্ত্রণালয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৫ জুলাই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিতপত্রে তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই পূর্বক মতামত দেয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মেঃ কামরুল হাসানকে নির্দেশ দেয়া হয়। ওদিকে, উপজেলা তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রেরিত প্রতিবেদনে মূল ঘটনা আড়ালের অভিযোগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যান মুসা প্রবাসে থেকে কিভাবে উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে চাল উত্তোলন খাতায় স্বাক্ষর দেন এনিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। চলতি দায়িত্বে থাকা ইউপি সদস্য পারছু মিয়া বিধি মোতাবেক চাল উত্তোলনের খাতায় স্বাক্ষর দেয়ার কথা।
বিধি মোতাবেক এনজিও কর্মী সঞ্চয় উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত থাকাবস্থায় চেয়ারম্যান টাকা নিজের কাছে গচ্ছিত রাখার কোন বিধান নেই।
উল্লেখ্য, উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নে ১৭৫ জন ভিজিডি সুবিধাভোগী হতদরিদ্র লোকজনের মধ্যে চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উত্তপ্ত হয় উপজেলার জনপদ। ২০ এপ্রিল মার্চ মাসের চাল বিতরণ করা হয়। চাল উত্তোলনের পর বিলম্বে বিতরণ নিয়ে সদোত্তর দিতে ব্যর্থ হন চেয়ারম্যান মুসা। আত্মসাতের খবর ছড়িয়ে পড়লে তড়িঘড়ি করে চাল বিতরণের ব্যবস্থা করন। ভোরে অজ্ঞাত স্থান থেকে চাল নিয়ে ইউনিয়ন অফিসে প্রবেশকালে জনতার হাতে আটক হন। সরকারি গুদাম থেকে চাল নিয়ে আসার কথা বলে প্রশাসনের সহায়তায় মুক্ত হন চেয়ারম্যান মুসা। বাস্তবে ওই দিন খাদ্যগুদাম থেকে চাল নিয়ে আসা হয়নি। খাদ্য কর্মকর্তা নিজেই এখবর নিশ্চিত করেন। এমন অনিয়মন নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সরব হয়।
সার্বিক বিষয়ে ১২ মে ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০২০ এর ৩৪(৩৪)(খ) (ঘ) ধারায় দৃশ্যমান অনিয়ম নিয়ে কেন চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুসাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।