সুনামগেঞ্জর ধর্মপাশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো.আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূত নিয়োগ, অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
গত বুধবার সকালে অধ্যক্ষ মো.আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিমান কুমার তালুকদার।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২০১০ সালের ২৬ ডিসেম্বর ধর্মপাশা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এতে বলা হয় ১৫ জানুয়ারী ২০১১ইং তারিখ সকাল ১০টায় প্রয়োজনীয় কাগজপ্রত্রসহ সকল দরখাস্তকারী উপস্থিত থাকার। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৩দিন পর ২৯ ডিসেম্বর ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগ, ১৩ জানুয়ারী জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি নিয়োগ যা সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূত ও রহস্যজনকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, যা সম্পূর্ণ প্রহসনমূলক। তাছাড়া অধ্যক্ষ আব্দুল করিমের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে সরকারি তদন্তে। অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, দুর্নীতি পরায়ন বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে নিয়োগ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
এবিষয়ে অধ্যক্ষ মো. আব্দুল করিম বলেন, হয়রানির উদ্দেশে আমার বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। শুধূ তাই নয়, বিমান কুমার তালুকদার আমার নিয়োগ বিষয়ে হাইকোটে রীট পিটিশন মামলা পর্যন্ত করেছেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটি খারিজ হওয়ার পর আবারো রিভিউ আবেদন করেন যা শুনানিধীন। সহকারী অধ্যাপক বিমান কুমার তালুকদার গত ১০ জানুয়ারী কলেজে অনুপস্থিত থেকে পরবর্তী সময়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে, এতে আমি মার্ক করলে পরে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো আমার হাজিরা খাতায় আমাকে অনুপস্থিত দেখায় বিমান কুমার। পরবর্তী সময়ে বিমান কুমার তালুদারের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে মিলে সরকারি বিধি পরিপন্থি নিয়োগ। পরে গত ৮ অক্টোবর বিমান কুমার তালুদারের অবৈধ নিয়োগ ও অবৈধভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়, যা তদন্তধীন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপকের নিয়োগ সরকারি বিধি পরিপন্থির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।