Logo

দেবপাড়া ইউপি নির্বাচনী হালচাল : আলোচনায় যারা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
জাগো নিউজ : বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১, ২০২০

image_pdfimage_print

সময় ঘনিয়ে আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের। এখনো বাকি প্রায় ৫মাস কিন্তু এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও সদস্য (মেম্বার) প্রার্থীরা। বিভিন্ন কৌশলে প্রার্থীরা নিজেদের প্রচারনা শুরু করেছেন। জানান দিচ্ছেন নিজেদের প্রার্থীতা।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী হালচাল নিয়ে ‘‘জাগো নিউজ’’র ধারাবাহিক প্রতিবেদন এর ধারাবাহিকতায় নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের মধ্যে আজ তুলে ধরা হলো ১০ নং দেবপাড়া ইউনিয়ন এর হালচাল।

গত বছরের ১৭ জুলাই বুধবার সকালে দেবপাড়া ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এড. মাসুম আহমেদ জাবেদ (জাবিদ আলী) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দেবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শুন্য করে তফসিল ঘোষণা করে। তাহার মৃত্যুজনিত কারণে ওই বছরের ১৪ অক্টোবর দেবপাড়া ইউনিয়নে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মুহিত চৌধুরী ।

এবারও আসন্ন নির্বাচনে আলোচনায় আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মুহিত চৌধুরী। এছাড়াও চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- প্রয়াত চেয়ারম্যান এডঃ মাসুম আহমেদ জাবেদ আলীর পুত্র যুবলীগ নেতা শাহ্ রিয়াজ নাদির সুমন। নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি যুবলীগ নেতা এম এ আহমদ আজাদ, উপজেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট জালাল আহমদ, তরুণ সমাজসেবক যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোঃ শাহজাহান সুমন ও মাওলানা ফখরুল ইসলাম চৌধুরী।

আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তরুণ সমাজসেবক যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোঃ শাহজাহান সুমন- ক্লীন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে রয়েছে তার পরিচিতি। এছাড়াও রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।

নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি যুবলীগ নেতা এম এ আহমদ আজাদ- নিজের ব্যক্তি ইমেজকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান তিনি।

পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে এবং তাঁর ইমেজকে কাজে লাগিয়ে পুরো ধমে প্রচার প্রচারণা চালান সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সালিশ-বিচারক এডভোকেট মাসুম আহমেদ জাবেদ আলীর পুত্র শাহ রিয়াজ নাদির সুমন। প্রতিদিনই ভোটারদের দ্বারেদ্বারে ঘুরেন তরুণ উদীয়মান এই প্রার্থী।

গত উপ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রায় সকল প্রার্থীরাই বিভিন্ন ভাবে নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিচ্ছেন তবে আসছে নির্বাচনে বিভিন্ন সমস্যা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন- সাবেক চেয়ারম্যান ও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আ.ক.ম. ফখরুল ইসলাম কালাম।

উল্লেখ্য- গত উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মোহিত চৌধুরী পেয়েছেন ৪ হাজার ১৩২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাসুম আহমেদ জাবেদের ছেলে শাহ রিয়াজ নাদির সুমন চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮২ ভোট। তৃতীয় হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আ ক ম ফখরুল ইসলাম কালাম। আনারস প্রতীক নিয়ে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ৮০১। বিএনপির অ্যাডভোকেট জালাল আহমদ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৮১ ভোট ও মাওলানা ফখরুল ইসলাম চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪২১ ভোট। এদিকে নির্বাচনী ফলাফলকে ব্যালট পেপার ছিনতাই, টেবিল কাস্ট ও বিভিন্ন কারচুপি ও এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিলেন প্রার্থী শাহ রিয়াজ নাদির সুমন, আ ক ম ফখরুল ইসলাম কালাম ও অ্যাডভোকেট জালাল আহমদ। তবে এবারও নির্বাচনী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

অন্যান্য সংবাদ
Theme Created By ThemesDealer.Com
x
error: কপি করা নিষেধ !
x
error: কপি করা নিষেধ !