এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ সোয়াম্প ফরেস্ট, রাতারগুল জলার বন এলাকা থেকে অবৈধ দানব যন্ত্র ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিবানিশি বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। ওই বালু খেকো চক্রটি রাতারগুল জলার বন এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে শতাধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে সার্বক্ষণিক বালু উত্তোলন করে আসলেও বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন কার্যকরী পদক্ষেপ নেননি। ফলে দিনে দিনে হুমকির মুখে পড়ছে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট।
সোমবার (২৪ মে) রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দানব যন্ত্র ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার কারণে গোয়াইন নদীর পূর্বাংশ অর্থাৎ রাতারগুল জলার বন এলাকা ধীরে ধীরে ভেঙ্গে নদীর সাথে বিলীন হচ্ছে। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বাইমার পার গ্রামের মৃত লালু মিয়ার ছেলে এরশাদ মিয়া ও লাদেন মিয়া দুই ভাই তাদের একটি সঙ্গবদ্ধ দল নিয়ে দিবানিশি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাতারগুল জলার বন এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করেন।
বালু ভর্তি প্রতিটি নৌকা থেকে ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা তুলেন। এরশাদের সঙ্গবদ্ধ চক্রটি সন্ত্রাসী হওয়ায় এলাকাবাসী ভয়ে মুখ খুলেননি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত এরশাদ ও লাদেনের সাথে একধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কথা বলতে রাজি হননি।
সিলেট বন বিভাগের সারী রেঞ্জের রেঞ্জার সাদ উদ্দিন উদ্দিন আহমেদ জানান রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট এলাকা থেকে প্রায়ই একটি চক্র অবৈধ দানব যন্ত্র ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার খবর পেয়ে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় আমার সরজমিনে উপস্থিত হয়ে একাধিক বার ড্রেজার নৌকা আটকের চেষ্টা চালাই। বর্তমানে বালু উত্তোলন কারী ওই চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।